অভিনেত্রী থেকে প্রযোজনায়

অভিনেতাদের প্রযোজনায় আসার গল্পো বলিউডে অনেক পুরনো। অভিনেত্রীরা বিয়ের পরে ঘরকন্নাতেই মনোনিবেশ করতেন। শুধু মোটা ব্যাঙ্ক বালান্সের প্রযোজকদের ঘরনী হয়েই এখন আর থেমে নেই অভিনেত্রীরা। নিজেরাই কোমর বেঁধে নেমে পড়ছেন প্রযোজনায়।

Updated By: Mar 17, 2014, 10:08 PM IST

অভিনেতাদের প্রযোজনায় আসার গল্পো বলিউডে অনেক পুরনো। অভিনেত্রীরা বিয়ের পরে ঘরকন্নাতেই মনোনিবেশ করতেন। শুধু মোটা ব্যাঙ্ক বালান্সের প্রযোজকদের ঘরনী হয়েই এখন আর থেমে নেই অভিনেত্রীরা। নিজেরাই কোমর বেঁধে নেমে পড়ছেন প্রযোজনায়।

শিল্পা শেঠি: মুক্তি পেতে চলেছে শিল্পা শেঠি প্রযোজিত ঢিশকাওঁ। এখনও পর্যন্ত একটিও হিট ছবি না দেওয়া হরমন বাওয়েজাকে নিয়ে কিছুটা ঝুঁকি নিয়েছেন শিল্পা। সঙ্গে আবার নবাগতা আয়েষা খন্না। রয়েছেন সানি দেওল। যাঁর পক্ষেও এখন হিট ছবি দেওয়া যথেষ্ট মুশকিল। তবে যথেষ্ট ঝুঁকি নিলেও আত্মবিশ্বাসী শিল্পা মনে করেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের মশলাই বক্সঅফিসে উতরে দেবে ছবি। নিজের আইটেম নম্বরও ছবিতে রেখেছেন শিল্পা।

পূজা ভট: মহেশ ভটের মেয়ে যে প্রযোজনায় আসবেনই তা যেন পূর্বনির্ধারিতই ছিল। ১৯৯৭ সালে জখম দিয়ে প্রযোজনায় হাতেখড়ি পূজার। ভট ক্যাম্পে আটকে না থেকে নিজের প্রযোজনা সংস্থা ফিশআই নেটওয়ার্ক খুলেছেন পূজা। এরমধ্যেই দশটি ছবি প্রযোজনা করে ফেলেছেন পূজা। দুশমন, জখম, জিসম, জিসম টু বক্সঅফিসে চুটিয়ে ব্যবসাও করেছে।

আমিশা পটেল: কহো না পেয়ার হ্যায় ছবিতে অভিনয় করে একরাতে বিখ্যাত হয়েছিলেন আমিশা। সেই স্টারডম চলেছিল গদর-এক প্রেম কথা পর্যন্ত। কিন্তু তারপর? হামরাজ, হনিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেডের মতো কিছু ছবি হিট হলেও বলিউড কেরিয়ার সেভাবে জমেনি আমিশার। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ছবি প্রযোজনাতেই লাক ট্রাই করতে নেমে পড়েছেন আমিশা। তাঁর প্রযোজিত দেশি ম্যাজিক পরিচালনা করছেন মেহুল আথা। ছবিতে অভিনয়ও করছেন আমিশা। রয়েছেন জায়েদ খান ও সাহিল শ্রফ।

দিয়া মির্জা: আমিশার মতোই রহেনা হ্যায় তেরে দিল মে ছবি দিয়ে রাতারাতি সাফল্য পেয়েছিলেন দিয়া। কিন্তু সাফল্য সিঁড়ি বেশিদূর চড়তে পারেননি দিয়া। তাই জায়েদ খানের সঙ্গে খোলেন নিজের প্রযোজনা বর্ন ফ্রি। প্রথম ছবি লভ, ব্রেকআপস, জিন্দেগি(২০১১)। দুজনেই অভিনয় করেছিলেন সেই ছবিতে। কিন্তু সেই ছবিও বক্সঅফিসে লাভের মুখ দেখেনি। তাই এবার স্পাই থ্রিলার ববি জাসুস দিয়ে ফের লাক ট্রাই করতে চলেছেন দিয়া। বিদ্যা বালন অভিনয় করছেন ববি জাসুস চরিত্রে।

প্রীতি জিন্টা: আমিশা, দিয়ার মতো তরী ডোবার গল্পোতো নয়ই, প্রীতি ছিলেন বলিউডের এক সময়ের এক নম্বর অভিনেত্রী। প্রচুর হিট ছবির পর প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে আইপিএল টিমের ব্যবসাতেও লাভের মুখও দেখেছেন প্রীতি। এহেন লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে যে ছবি প্রযোজনাতে হাত লাগাতে চাইবেন তা যেন জানাই ছিল। তবে ২০১৩ সালে প্রীতি প্রযোজিত ছবি ইশক ইন প্যারিস বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। যদিও ছবিতে রেহান মালিকের বিপরীতে ছিলেন প্রীতি নিজেই।

লারা দত্ত: নো এন্ট্রি, পার্টনারের মতো ছবি হিট করলেও বলিউড কেরিয়ার সেভাবে পানি পায়নি লারার। স্বামী মহেশ ভূপতির সঙ্গে ২০১১ সালে খোলেন প্রযোজনা সংস্থা ভিগি বসন্তি। প্রথম ছবি চলো দিল্লি সমালোচকদের প্রশংসাও পেয়েছে।

মনীষা কৈরালা: এক সময়ের এক নম্বর নায়িকা মনীষা প্রযোজনায় আসেন ২০০৪ সালে। পয়সা উসুল বক্সঅফিসে লাভের মুখ দেখেনি। তারপর থেকে কিছুটা অবসাদে ভুগতে থাকেন মনীষা।

হৃষিতা ভট: অশোকা ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে অভিনয় করলেও কোনওদিনই সাফল্যের মুখ দেখেননি হৃষিতা। ২০১১ সালে যখন শকল পে মত আ ছবি প্রযোজনা করলেও সেখানেও সাফল্যের মুখ দেখেননি তিনি।

সুস্মিতা সেন: ২০০৭ সালে ঘোষনা করেছিলেন ইংরেজি ছবি ঝাঁসি কি রানি প্রযোজনা করবেন সুস্মিতা। সেই ছবি এখনও দিনের আলো দেখেনি। তবে শোনা যাচ্ছে চিত্রনাট্য লেখা অবশেষে শেষ হয়েছে।

জুহি চাওলা: শাহরুখ খান ও আজিজ মির্জার সঙ্গে ২০০০ সালে প্রযোজনা করেছিলেন ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি। ছবি বক্সঅফিসে সাফল্যও পেয়েছিল। কিন্তু এগোতে পারেনি প্রযোজনা সংস্থা ড্রিমজ আনলিমিটেড।

.