স্ত্রীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম, Nusrat-র বিবৃতি প্রসঙ্গে পাল্টা Nikhil

'আমার বিরুদ্ধে নুসরত যা অভিযোগ এনেছে তা শুনে খারাপ লাগল, স্বামী-স্ত্রী হিসাবেই একসঙ্গে থাকতাম,মুখ খুললেন নিখিল'  

স্ত্রীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম, Nusrat-র বিবৃতি প্রসঙ্গে পাল্টা Nikhil

নিজস্ব প্রতিবেদন: নুসরত-নিখিল বিতর্কে নয়া মোড়। অবশেষে মুখ খুললেন নুসরত জাহান। বুধবার তিনি একটি বিবৃতি জারি করে তা প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী তিনি বিবাহিতই নন। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, ঠিক সেই সময় মুখ খুললেন নুসরতের স্বামী নিখিল জৈন। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে তিনি জানান- 'আমার বিরুদ্ধে নুসরত যা অভিযোগ এনেছে আমার শুনে খারাপ লাগল, মানুষ হিসাবে খারাপ লাগারই কথা, কিন্তু আমি ওঁর বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। যা হয়েছে তা সকলের সামনে ঘটেছে।'  

আরও পড়ুন:নিখিলের সঙ্গে সহবাস করতাম, বিয়ে করি নি, তাই বিচ্ছেদের প্রশ্নই নেই: Nusrat

 

নিখিল এও জানান-'আমি যা করেছি আমার বিশ্বাস থেকে করেছি। আমি যে পরিবারের ছেলে আমার কাছে বিয়ে মানে বিয়েই, আমি বিয়ের পর আমার স্ত্রীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি সবটাই মন থেকে করেছি। আমি বিয়ে করেছি, আমরা একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতাম। মন থেকেই সবটা করেছিলাম। তবে এখন আমি আর ওঁর সঙ্গে থাকতে চাই না, তার কারণ কোর্টে জানিয়েছি। আর কিছু আমি এই বিষয়ে বলতে চাই না।' 

 

নুসরতের অন্তঃস্বত্তা হওয়ার প্রসঙ্গে নিখিল এদিনও জানান-'আমরা প্রায় আট মাস আলাদা থাকছি, কেন থাকছি তা সব আদালতে জানিয়েছি। সব তথ্যও দিয়েছি। বিয়ে হয়েছে কি হয়নি সেটা এবার আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে।' প্রসঙ্গত বুধবার নুসরত বলেন তুরস্কে র বিবাহ আইন অনুযায়ী এটা অবৈধ। হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে রেজিস্ট্রেশনও হয়নি, ফলে এটা আইনত সিদ্ধ নয়। নুসরত জাহান এও জানান, নিখিলের সঙ্গে আমি লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলাম। এটা বিয়েই নয়। সুতরাং বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।'

আরও পড়ুন: 'বিয়ে নয় সহবাস করেছি', বলছেন Nusrat, লোকসভার ওয়েবসাইট বলছে Nikhil তাঁর স্বামী

এদিন বিবৃতিতে নুসরত এও দাবি করেন, তাঁর সমস্ত ব্যাঙ্কের নথিপত্রও নিখিলের কাছে ছিল এবং আলাদা হয়ে যাওয়ার পরেও নুসরতের টাকা ব্যবহার করেছেন নিখিল। এ প্রসঙ্গে সময়মত প্রমাণ দিতে পারেন নুসরত।  এ প্রসঙ্গে নিখিলের মত 'যদি প্রমাণ থাকে তো সেই প্রমাণ সামনে আনুক, আপনারাও দেখবেন, আমিও দেখতে চাই। তবে এটুকু বলতে পারি আমি যদি ভুল হতাম তাহলে আদালতে যেতাম না। সব তথ্য আমি জমা দিয়েছি বাকিটা আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে।'

.