'আরাধ্যা কি অন্ধ? ও কি পালিয়ে যাবে?' মেয়ের হাত ধরায় ঐশ্বর্যকে অপমান প্রকাশ্যেই

চুপ রয়েছেন রাই

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের সমালোচকদের নিশানায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। এবারেও ছোট্ট আরাধ্যাকে নিশানা করে জোর কটাক্ষ করা হয় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে দেখে। 
ঘটনাটা খুলেই বলা যাক তাহলে।  ধীরুভাই অম্বানি আন্তর্জাতিক স্কুলে ২০ ডিসেম্বর ছিল বাত্সরিক অনুষ্ঠান। প্রত্যেক   মত এবারও তাই তারকা সন্তানরা হাজির হয় স্কুলের 'বড় দিন' উপলক্ষে।  শাহরুখ খান, আব্রাম খান, সুজান খান-রা যেমন তাঁদের সন্তানদের নিয়ে হাজির হন, তেমনি বাদ পড়েননি অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনও।  স্কুলের অনুষ্ঠান শেষ করে ঐশ্বর্য যখন আরাধ্যার হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে আসেন, তখন চটপট পড়তে শুরু করে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। ঐশ্বর্য-আরাধ্যা এবারও তাই পাপারাত্জির কাছে মা-মেয়ের সেরা জুটি হয়ে ওঠেন।  কিন্তু, আরাধ্যার হাত ধরে নিয়ে ঐশ্বর্য যখন হেঁটে যান, সেই ছবিকে মোটেই ভাল চোখে নেয়নি নেটিজেনদের একাংশ।  

View this post on Instagram

ঐশ্বর্য কেন এক মুহূর্তের জন্যও আরাধ্যার হাত ছাড়েন না? সব সময় কেন মেয়ের হাত ধরে নিয়ে হেঁটে যান? আরাধ্যা কি একা হাঁটতে পারে না? এই ধরনের অহেতুক প্রশ্ন করতে শুরু করেন এক শ্রেণীর মানুষ।  শুধু তাই নয়, তৈমুরও এখন কারও হাত ছাড়া একা একা হাঁটতে পারে বলেও নিশানা করা হয় বহু বচ্চনকে। পাশাপাশি মাত্র ৬ বছরের শিশুর এত সাজগোজের কোনও প্রয়োজন নেই বলেও নিশানা করা হয় প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরীকে।

কেউ কেউ আবার আরাধ্যাকে কখনও নিজের কাছছাড়া করেন না বলেই অভিষেক বচ্চন সব সময় একা একা ঘুরে বেড়ান বলে অনেকে কটাক্ষ শুরু করেন। অনেকে আবার স্কুল নয়, আরাধ্যা তো মায়ের সঙ্গে কোনও 'ফ্যাশন ইভেন্টে' যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে বলেও সমালোচনা শুরু করেন অনেকে। আবার কেউ কেউ আরাধ্যা নিজে হাঁটতে পারে না বলেই ওর মা সব সময় হাত ধরে নিয়ে যান বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি আরাধ্যার হাত ছেড়ে দিলে ও  যদি পালয়ে যায়, সেই ভয়ে ঐশ্বর্য সব সময় শক্ত করে মেয়ের হাত ধরে রাখেন বলেও করা হয় মন্তব্য। কেউ কেউ তো আবার সন্তানকে কিছুটা সময় নিজের মত থাকতে দিন বলেও কটাক্ষ করেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরীকে। 
দেখুন..

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার আরাধ্যাকেনিয়ে নেটিজেনদের একাংশের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে।  কিন্তু, হাজার সমালোচনার মুখে পড়েও, সব সময় নিরবতা বজায় রেখেই চলেছেন অমিতাভ বচ্চনের বউমা।