সলমন খান-কে নিয়ে আবার মুখ খুললেন ঐশ্বর্য, বিস্ফোরক রাই

'হাম দিল দে চুকে সনম'-এর পর আর একসঙ্গে দেখা যায়নি তাঁদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘দেবদাস’-এ শাহরুখ খান এবং ঐশ্বর্যর জুটি দর্শকদের হাজারো প্রশংসা কুড়িয়েছিল। কিন্তু, শাহরুখ, ঐশ্বর্যর ‘জোশ’-কেও অন্যতম আইকনিক সিনেমা হিসেবেই ধরা হয়। ২০০০ সালে ‘জোশ’ বক্স অফিসে দমদার ব্যবসাও করে। কিন্তু, শাহরুখ নন, ‘জোশ’-এর জন্য পরিচালকের প্রথম পছন্দ কে ছিলেন জানেন?

একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে ঐশ্বর্য বলেন, ‘জোশ’-এর জন্য পরিচালক মনসুর খানের প্রথম পছন্দ ছিলেন সলমন খান। অর্থাত, ‘জোশ’-এ সলমন খান-কে তাঁর দাদার চরিত্রে দেখা যাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, আমির খান-কেও এই সিনেমায় কাস্ট করার কথা ছিল। চন্দ্রচূড় সিং-এর পরিবর্তেই আমিরকে এই সিনেমায় কাস্ট করার কথা ভেবেছিলেন পরিচালক। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত, সলমন কিংবা আমির নন, ঐশ্বর্যর সঙ্গে ওই সিনেমায় দেখা যায় শাহরুখ এবং চন্দ্রচূড়-কে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিচালকের ভাবনা চিন্তাও পাল্টে যায়। আর সেই কারণেই পরিবর্তন আনা হয় কাস্টিংয়ে।

সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এ সলমন খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন ঐশ্বর্য রাই। কিন্তু, ওই সিনেমার পর থেকেই সলমন, ঐশ্বর্যর সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। তারপরই ২০০০ সালে সলমন খানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ঐশ্বর্য রাই-এর। যা নিয়ে বলিউডে কম জল্পনা হয়নি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সংবাদমাধ্যম ডেকে সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন ঐশ্বর্য।

এসবের পাশাপাশি ঐশ্বর্য এও জানান, সলমন খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। এই ভুল দ্বিতীয়বার তিনি আর করতে চান না। শুধু তাই নয়, সম্পর্কে থাকাকালীন সলমন যেভাবে তাঁর গায়ে হাত তুলেছেন, মারধর করেছেন, তা কোনওদিন ভুলতে পারবেন না তিনি। এমনকী, সলমনের মারের দাগ তাঁর পিঠ থেকে উঠে যায়নি বলেও এক সময় মন্তব্য করেন রাই সুন্দরী।