সিরাকো তথ্যচিত্রের জন্য গ্রিন অস্কার পেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অশ্বিকা
কাকাপো। এই লুপ্তপ্রায় প্যারট প্রজাতির পাখি নিয়ে তথ্যচিত্রের জন্য গ্রিন অস্কার পেলেন বছর সাতাশের অশ্বিকা কপূর। মার্কিন ছবি প্রাইড এবং ব্রিটিশ ছবি আরে রাইনোকে পিছনে ফেলে দিয়েছে অশ্বিকার সিরোকো।
ওয়েব ডেস্ক: কাকাপো। এই লুপ্তপ্রায় প্যারট প্রজাতির পাখি নিয়ে তথ্যচিত্রের জন্য গ্রিন অস্কার পেলেন বছর সাতাশের অশ্বিকা কপূর। মার্কিন ছবি প্রাইড এবং ব্রিটিশ ছবি আরে রাইনোকে পিছনে ফেলে দিয়েছে অশ্বিকার সিরোকো।
চার বছর বয়সেই পশু-পাখির প্রেমে পড়েছিল ছোট্ট অশ্বিকা। একটি হাসের ছানা নিয়ে এসেছিল বারো তলার অ্যাপার্টমেন্টে। ফিল্মের প্রতি আগ্রহ ছোট থেকেই। বিজ্ঞাপন ও টিভি শোয়ে কাজের সুবাদে। তাই কেরিয়ার বাছার সময় এই দুটোকেই মিলিয়ে দেন অশ্বিকা কাপুর। নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওয়াইল্ডলাইফ ফিল্মমেকিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্টেই বানিয়ে ফেললেন সিরোকো--হাও অ্যা ডিউড বিকেম অ্যা স্টাড। প্রথম ছবিই সুপারডুপার হিট। হিট মানে ওয়াইল্ড লাইফ ফিল্মের সর্বোচ্চ সম্মান গ্রিন অস্কার এনে দিল অশ্বিকাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রজেক্ট খুঁজতে খুঁজতেই লুপ্তপ্রায় প্রজাতির কাকাপোর সন্ধান পান অশ্বিকা। প্যারট প্রজাতির নিউজিল্যান্ডের এই পাখি এখন সংখ্যায় হাতে গোণা। কাকাপো পাখির থেকেই তৈরি হয়ে যায় সিরোকো চরিত্র। একটি পাখি যে নিজেকে মানুষ ভাবে। নিজের ছবিতে তারই গল্প বলেছেন অশ্বিকা কাপুর। আসলে অশ্বিকা মনে করেন, ছবির মাধ্যমে শেখানো এবং শিক্ষিত করা। আর তাই করেছেন অশ্বিকা। তাতেই বন্যপ্রাণ চলচ্চিত্রে সেরার শিরোপা পেলেন অশ্বিকা। গত বৃহস্পতিবার ব্রিস্টলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ডেভিড অটোনবরোর উপস্থিতিতে পান্ডা অ্যাওয়ার্ড অর্থাত্ গ্রিন অস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে।