সময় এগোচ্ছে, কুসংস্কারের অন্ধকারে ডুবছে বলিউড
স্বপ্ন দেখানো থেকে ফ্যাশন ট্রেন্ড, সব কিছুতেই আম জনতার আদর্শ এরাই। এদের জীবনের গল্পো ভক্তদের কাছে ফ্যান্টাসি। সময়, প্রযুক্তি এগিয়ে মানুষ যখন মঙ্গলে, তখনও এদিকে কুসংস্কারের অন্ধকারে ডুবে রয়েছেন বলিউড তারকারা। তাদের কুসংস্কার ছায়া পড়ে ভক্তদের স্টাইল স্টেটমেন্টেও। সরাসরি বিজ্ঞাপনের অংশীদার না হলেও প্রিয় তারকার হাতের আংটি দেখে হাজার হাজার টাকা খরচ করে নিজের হাতেও তা পরে নিচ্ছেন অন্ধ ভক্ত। ফলে দেদার বিকোচ্ছে কুসংস্কার, কিন্তু তাতেও ভাগ্য খুলছে না ভক্তের।
ওয়েব ডেস্ক: স্বপ্ন দেখানো থেকে ফ্যাশন ট্রেন্ড, সব কিছুতেই আম জনতার আদর্শ এরাই। এদের জীবনের গল্পো ভক্তদের কাছে ফ্যান্টাসি। সময়, প্রযুক্তি এগিয়ে মানুষ যখন মঙ্গলে, তখনও এদিকে কুসংস্কারের অন্ধকারে ডুবে রয়েছেন বলিউড তারকারা। তাদের কুসংস্কার ছায়া পড়ে ভক্তদের স্টাইল স্টেটমেন্টেও। সরাসরি বিজ্ঞাপনের অংশীদার না হলেও প্রিয় তারকার হাতের আংটি দেখে হাজার হাজার টাকা খরচ করে নিজের হাতেও তা পরে নিচ্ছেন অন্ধ ভক্ত। ফলে দেদার বিকোচ্ছে কুসংস্কার, কিন্তু তাতেও ভাগ্য খুলছে না ভক্তের।
অমিতাভ বচ্চন- পরিশ্রম ও অভিনয় ক্ষমতার জেরে সাফল্যের শিখরে পৌঁছলেও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন বিগ বি কিন্তু ক্রেডিট দিতে চান নিজের ভাগ্যকেই। জন্মছকে গ্রহ, নক্ষত্রের অবস্থান দেখে নীলা, পান্না ধারণ করেছেন। এমনকী, বহু পুত্রবধূর মাঙ্গলিক দশা কাটাতে সঙ্কটমোচন মন্দিরে গাছের সঙ্গে বিয়েও দিয়েছেন!
ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন- কম যান না পুত্রবধূটিও। মাত্র ২১ বছর বয়সে নিজের সৌন্দর্য্যের জেরে সাফল্যের শিখরে পৌঁছলেও বেরোতা পারেননি কুসংস্কারের ছায়া থেকে। শ্বশুর মশাইয়ের পরামর্শে ধারণ করেছেন নীলা, হিরে। এমনকী, লক্ষ্মী মেয়ের মতো বিয়ে করেছেন গাছকেও।
শাহরুখ খান- কোনও গডফাদার ছাড়াই বলিউডের বাদশা হয়েছেন তিনি। কিনেছেন আইপিএল টিমও। ২৫ বছর ধরে রাজত্ব করেও ইনিও নিজের থেকে বেশি ভরসা রাখেন ভাগ্যের ওপরই। তাই গ্রহরত্ন ধারণ শুধু নয়, গাড়ির নম্বর প্লেটও বলে তার লাকি নম্বর ৫৫৫।
করিনা কপূর- কপূর পরিবারের কন্যাটি যে রাজ করবেন তা তিনি বলিউডে পা রাখা মাত্রই বোঝা গিয়েছিল। তবে নিজের ওপর বোধহয় বিশেষ ভরসা ছিল না তার। তাই কেরিয়ারের শুরুতেই ধারণ করে ফেলেছেন পোখারাজ ও পলা। নিজের সর্বদা উর্ধ্বমুখী কেরিয়ার থেকে শুরু করে নবাব ঘরণী হওয়া সব ক্রেডিটই তিনি দিতে চান এদেরই।
সলমন খান- ভাই বলতে বলিউড অজ্ঞান, মাথায় তাঁর হাত থাকলে বলিউড কেরিয়ার নিশ্চিত, তবুও আত্মবিশ্বাসে ভাঁটা পড়ে সলমনের। ডানহাতের কবজিতে বাবার দেওয়া নীল পাথর বসানো ব্রেসলেট তাই তার নিত্যসঙ্গী। যা এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ভক্তদের স্টাইল স্টেটমেন্টও বটে।
ক্যাটরিনা কাইফ- কেরিয়ারের শুরুতে মাথায় হাত ছিল সল্লু মিঞার। সুন্দর মুখের জেরে হিটের পর হিট ছবি দিয়ে বলিউডে রাজ করেছেন ১২ বছর। প্রত্যেক ছবির মুক্তির আগে খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় যেতেই হয় তাকে।
আমির খান- মুখে যুক্তিবাদ নিয়ে সরব হলেও ব্যক্তিগত জীবনে কুসংস্কারাচ্ছন্ন মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানও। মনে করেন ডিসেম্বর তার লাকি মাস। প্রত্যেক ছবির মুক্তির জন্য তাই ডিসেম্বর মাসকেই বেছে নেন তিনি। এমনকী, ছেলে আজাদের জন্মও ডিসেম্বরে পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া- টিনএজ না পেরোতেই করেছেন বিশ্বজয়। নিজের অভিনয় ক্ষমতার গুণে হয়েছেন ঝিলমিল থেকে মেরি কম। এঁরও দরকার পড়ে রত্নের? রাশি স্টোনের ওপর গভীর বিশ্বাস রাখা প্রিয়ঙ্কা সময় অনুযায়ী বদলাতে থাকেন আংটি।
সঞ্জয় দত্ত- মুন্নাভাই মনে করেন তার লাকি নম্বর ৯। গাড়ির নম্বর প্লেটে তাই দেখা যায় ৪৫৪৫। কিন্তু তাতেও রুখতে পারেননি কারাবাস।
দীপিকা পাডুকোন- মাই চয়েস ভিডিও, অবসাদ থেকে নিজের ক্লিভেজ নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। দৃঢ়চেতা দীপিকাও কিন্তু মুক্ত হতে পারেননি কুসংস্কার থেকে। ক্যাটরিনার মতোই তিনিও প্রত্যেক ছবি মুক্তির আগে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে যাবেনই।
অক্ষয় কুমার- সাহস, পরিশ্রম, অভিনয় ক্ষমতা, সুঠাম চেহারা। বলিউডে খ্যাতি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কোনওটিরই ঘাটতি নেই তার। খানদের দাপটও বলিউডের খিলাড়িকে টলাতে পারেনি নিজের আসন থেকে। তবুও এখনও সব ছবির মুক্তির আগে বিদেশে থাকেন অক্ষয়। তাঁর অন্ধ বিশ্বাস মুক্তির সময় দেশ থেকে দূরে থাকাই সাফল্য এনে দেবে তাকে।
শিল্পা শেঠি- বিগ ব্রাদার জয় থেকে আইপিএল টিম, যোগব্যামের সিডি লঞ্চ সব সাফল্যেরই ক্রেডিটই তিনি দেন হাতের পান্না ও পোখরাজটিকে। রাজস্থান রয়্যলসের খেলা চলাকালীন হাতে দুটো ঘড়ি পরেন তিনি, টিম যখন ব্যাট করে তখন বসে থাকেন পা সোজা করে!
রনবীর কপূর- মা আর ৮ নম্বর। এই দুইয়ের বাইরে আর কিছু বোঝেন না রনবীর। প্রমাণ গাড়ির নম্বর প্লেট।
বিপাশা বসু- ভূতের ছবিতে অভিনয় করতে করতে নিজেও বোধহয় অশুভ শক্তি দূরে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিপস। নিজের গাড়িতে তাই প্রতি শনিবার লেবু-লঙ্কা ঝোলাতে ভোলেন না তিনি।
বিপাশা বসু- ভূতের ছবিতে অভিনয় করতে করতে নিজেও বোধহয় অশুভ শক্তি দূরে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিপস। নিজের গাড়িতে তাই প্রতি শনিবার লেবু-লঙ্কা ঝোলাতে ভোলেন না তিনি।