Chanchal Chowdhury| Paresh Rawal: ‘কেউ মাছ-ভাত খাবে নাকি কাঁচা খেয়ে গ্যাস বাঁচাবে, তাঁর নিজস্ব ব্যাপার’
Chanchal Chowdhury| Paresh Rawal: জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘যে দেশেরই হোক, যে ধর্মের হোক, যে বর্ণের হোক, যে জাতেরই মানুষ হোক না কেন, তাঁর নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, নিজস্ব জীবনধারণের সূত্র আছে, যেটা হয়তো বংশ পরম্পরায় চলে আসছে...'
Chanchal Chowdhury, Paresh Rawal, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাছে ভাতে বাঙালিকে মাছ খাওয়া নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে প্রবল কটাক্ষের মুখে বলিউডের অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। বাঙালির পরিচয় দিতে কেউ তুলে ধরেন শিল্প সংস্কৃতি শিক্ষার কথা কেউ আবার বলেন বাঙালিদের খাদ্যরসিকতার কথা আর খাবারের কথা বলতেই বাঙালিকে বলা হয়, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। সম্প্রতি বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। বিজেপির তরফ থেকে গুজরাটে নির্বাচনের প্রচারে গিয়েই মন্তব্য করেন পরেশ। তার এই মন্তব্যের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে রাতনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষদেরও। মঙ্গলবার পরেশের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। এবার এই প্রসঙ্গে কথা বললেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘যে দেশেরই হোক, যে ধর্মের হোক, যে বর্ণের হোক, যে জাতেরই মানুষ হোক না কেন, তাঁর নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, নিজস্ব জীবনধারণের সূত্র আছে, যেটা হয়তো বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। সেই জায়গা থেকে একে অপরের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সমালোচনা করে আমার বলার কিছু নেই। এটা যার যার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি যে কে ডাল ভাত খাবে, কে মাছ-ভাত খাবে, কে গ্যাসের চুলায় রান্না করবে, কে লকড়ির চুলায় রান্না করবে, কে রান্না না করে কাঁচা খেয়ে গ্যাস বাঁচাবে, এটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার, তাঁর অভ্যস্ততার উপর নির্ভর করে। এটা আমার মনে হয় না অন্যের কারোর বিষয়ে বলা যায়, নিজের বিষয়ে আমি বলতে পারি। শুধুমাত্র কটাক্ষ করার জন্য কেউ কিছু বলে দেওয়ার থেকে রাষ্ট্রের প্রতি, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কথা বলাই উচিত।’
আরও পড়ুন- Madhubanti Bagchi: 'রাতের ফোনে সঞ্জয় স্যর, আর আমার চোখে অঝোর জল!'
প্রসঙ্গত, গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনে ভালসাদে বিজেপির হয়ে প্রচারে গিয়ে 'মাছে-ভাতে বাঙালি'কে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন পরেশ রাওয়াল। বিতর্ক বাড়তেই চাপের মুখে পড়ে ক্ষমাও চান অভিনেতা। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গ টেনে পরেশ রাওয়াল বলেছিলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়লে তা আবারও সস্তা হয়ে যাবে। যদি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তা কমে যাবে। মানুষ চাকরিও পাবেন। মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা গুজরাটের মানুষ সহ্য করতে পারে। কিন্তু যদি দিল্লির মতো রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা আপনার বাড়ির পাশে থাকতে শুরু করে, তাহলে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কী হবে? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন?’ তাঁর এই মন্তব্যের জেরেই তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েন পরেশ রাওয়াল। সমালোচনার মুখে পড়ে শুক্রবার ক্ষমা চান অভিনেতা। টুইট করে পরেশ রাওয়াল বলেন, 'মাছটা কোনও ইস্যু নয়, কারণ গুজরাটিরাও মাছ রান্না করে এবং খায়। বাঙালি বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের। কিন্তু যদি এই মন্তব্য আপনাদের ভাবাবেগে আঘাত করে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।' পরেশের এই মন্তব্য জাতিবিদ্বেষমূলক বলে দাবি করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।