নিজস্ব প্রতিবেদন : ছোট্ট ফুটফুটে শিশুর কাছে মা-বাবাই সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। কিন্তু রক্ষকই যদি হয় ভক্ষক? পিতৃস্নেহের বদলে যদি বাবার তীব্র শারীরিক অত্যাচারের শিকার হতে হয় কোনও ১ বছরের শিশুকে? ভেবেই শিউরে উঠলেন তো! এমনই এক মর্মান্তিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আন্তর্জাতিক স্তরে বিচারের আর্জি জানালেন অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী নোরা ফতেহি। নোরার পোস্ট করা ভিডিয়ো দেখে স্তম্ভিত নেটিজেনরা। কোনও বাবা যে তার সন্তানের সঙ্গে এমনটা করতে পারেন, সেটা বিশ্বাস করতে পারছেন না কেউ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে একটি ছোট্ট ফুটফুটে শিশুকে নিয়ে মেঝেতে বসে বাবা। কখনও একের পর এক জোড়ালো থাপ্পড়, কখনও বা মেঝেতে আছাড় মারছেন ছোট্ট শিশুকন্যাকে। পরের পর নির্মমভাবে আঘাত করতে থাকলেন কোলের শিশুকে। শুধু তাই নয়, দেখা যাচ্ছে শিশুটিকে জোড় করে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন ওই ব্যক্তি। ছোট্ট শিশুটি টলমল পায়ে দাঁড়াতে না পারায় আবারও মার। পেটে চাপড় মেরে শিশুটিকে যেন শাস্তি দিলেন ওই বাবা। একটানা জোড়ালো মারধরে জেরে যেন আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পড়ে শিশুটি। 


আরও পড়ুন-প্রিয়াঙ্কার হাতের এই মেটাল বক্স ব্যাগের দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে


ভয়ানক ভিডিয়োটি পোস্ট করে নোরা লেখেন, "প্রথমেই আমি এমন মর্মান্তিক ভিডিয়ো পোস্ট করার জন্য ক্ষমা চাইছি। কিন্তু আমার পক্ষে আর চুপ থাকা সম্ভব নয়। একটি নিস্পাপ শিশুর উপর এমন বর্বর এবং অমানুষিক অত্যাচার দেখে মুখ বুজে থাকতে পারছি না।" নোরা আরও বলেন, "এই ধরনের কাজে তদন্তের প্রয়োজন নেই। সরাসরি শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।" আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ইউনিসেফ-কে ট্যাগ করেন নোরা। সৌদি আরবে তাঁর ফলোয়ারদের কাছেও এই ব্যক্তির শাস্তির ব্যবস্থা করার আর্জি জানান তিনি।  



"এটা কী হচ্ছে? আপনার কী হৃদয় বলে কিছু নেই? ভগবানে ভয় নেই?" প্রশ্ন তোলেন নোরা। নোরা জানান, ভিডিয়োয় নিজের মেয়েকে অমানুষিকভাবে অত্যাচার করা ব্যক্তির নাম ইউসেফ কাটাই। সেই সঙ্গে যে ব্যক্তি এই ভিডিয়োটি করছেন তাঁরও মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নোরা।


ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইনস্টাগ্রামে প্রায় ১০ লক্ষ বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। ভিডিয়োর কমেন্টে ফ্যাশান ফটোগ্রাফার অতুল কসবেকর লিখেছেন, "খুবই জঘন্য। আমি নিশ্চিত শিশুটি ভীষণই আহত হয়েছে।"


আরও পড়ুন-ইফের এই স্বভাবই না-পসন্দ করিনা, বলেই ফেললেন বেবো