Tarun Majumdar Death: ভালোবাসার বাড়ি ছেড়ে চিরবিদায় তরুণের
গত ২১শে জুন জানা গিয়েছিল কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান পরিচালক।
![Tarun Majumdar Death: ভালোবাসার বাড়ি ছেড়ে চিরবিদায় তরুণের Tarun Majumdar Death: ভালোবাসার বাড়ি ছেড়ে চিরবিদায় তরুণের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/07/04/381212-tarun-majumdar.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জীবনযুদ্ধে হার মানলেন ‘দাদার কীর্তি’র স্রষ্টা। সোমবার সকাল ১১.১৭ মিনিটে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। গত ১৪ জুন থেকে কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান পরিচালক। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। দীর্ঘ দু-দশক ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন।
রবিরার মধ্যরাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছিল তাঁকে। ডায়ালিসিসের প্রয়োজন থাকলেও ডায়ালিসিস দেওয়ার অবস্থায় তিনি ছিলেন না। ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিডনির সমস্যা নিয়েই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পরে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর।
১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি অধুনা বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম তরুণ মজুমদারের। প্রায় ষাট বছরের দীর্ঘ কেরিয়ার তাঁর। ১৯৫৯ সালে ছবির জগতে পা রাখা। কাজ করেছেন এই সেদিন পর্যন্ত-- ২০১৮ সাল। ১৯৯০ সালে 'পদ্মশ্রী' সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁর বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। কেমিস্ট্রির ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক ছিল বরাবরই।
১৯৫৯ সালে উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের সঙ্গে চাওয়া পাওয়া' ছবিটি বানিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। ১৯৬০ সালে বানালেন 'স্মৃতি টুকু থাক'। ১৯৬২ সালে 'কাঁচের স্বর্গ' বানিয়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম এই পরিচালক। এই ছবির জন্যই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। চারটি জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন পরিচালক। 'ভালোবাসার বাড়ি' তরুণ মজুমদার পরিচালিত শেষ ছবি। যেটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়।
আরও পড়ুন, Tarun Majumdar: পলাতক জীবনপুরের পথিক