আক্কির মিশন সাকসেসফুল!
শর্মিলা মাইতি হলিডে- আ সোলজার ইজ নেভার অফ ডিউটি রেটিং- ***
শর্মিলা মাইতি
হলিডে- আ সোলজার ইজ নেভার অফ ডিউটি
রেটিং- ***
বছর আটেক হল, অক্ষয়কুমার মানেই হয় ধুমধাড়াক্কা অ্যাকশন, মার্শাল আর্টের কারিকুরি, নয়ত শুধুই অবান্তর কাতুকুতু দেওয়া হাসি। বলিউডে এমনও একটা সময় এসেছিল, দুর্ভাগ্য কিনা জানা নেই, তবে মাথা-ধরানোর-ছবিগুলোই তুমুল ব্যবসা দিচ্ছিল আর সে-সব ছবির নায়কের ভূমিকায় অবধারিত অক্ষয়কুমার। তাঁর বাজারদর তখন একাত্তর কোটি প্লাস! পার ফিল্ম! যতই চোখ কপালে তুলুন, এটাই ছিল এককালের বাস্তব। হাওয়াবদল হয়েছে। দর্শক স্যারিডন নিতে নিতে ইমিউনড হয়ে গিয়েছে। বেগতিক বুঝে অক্ষয়কুমারও তড়িঘড়ি ইমেজ বদলেছেন। তাঁর সবচেয়ে প্রিয় অভ্যেসটায় আবার ফিরে গিয়েছেন। আরও তীক্ষ্ম, তীব্র করেছেন মার্শাল আর্টের দক্ষতাকে। হলিউডের বিখ্যাত ছবি স্কাইফল-এর অ্যাকশন ডায়রেক্টরের কাছ থেকে নিয়েছেন তালিম। কতখানি বাধ্য ছাত্রের মতো, সেটা ছবিটা একবার দেখলেই বুঝবেন।
সৈন্যের জীবনে নেই কোনও ছুটি। ছুটিতেও যখন তখন ডাক এলেই যেতে হবে তত্ক্ষণাত্। জীবনের পুরোটাই দেশের জন্য। উপভোগের জীবন এক্কেবারে নেই। ছবিতে এমনই এক সেনার চরিত্রে অক্ষয়কুমার। আইনের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে দুষ্কৃতকারীকে মেরে ফেলতে যার হাত এতটুকু কাঁপে না। আর্কেটাইপ চরিত্র। কিন্তু তার মধ্যেও বৈচিত্র এনেছেন অক্ষয়। অভিনয় আরও ধারালো হয়েছে। অ্যাকশন সিকোয়েন্স গুলোতে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন। দক্ষিণী ছবির রিমেকের পরিচালক মুরুগাডসের এটি দ্বিতীয় ছবি। আগের ছবি আমির খানের গজিনি। বুককাঁপানো মারকাটারি লড়াই আর অ্যাডভেঞ্চার, দুটোই ভাল করে ব্লেন্ড করেছেন।
অক্ষয়কুমার বাদে আর যে বিষয়টি এ ছবির মুখ্য আকর্ষণ, তা হল অসম্ভব টানটান একটি গল্প। পপকর্ন-দর্শকদের সিট ছেড়ে উঠতেই দেবে না। ছুটির দিনে উপভোগ করতেই পারেন। প্রীতমের মিউজিকে ছন্দ আছে, কিন্তু ভ্যারিয়েশন কম। আরও একটু সচেতন হলে ভাল। অন্তত বরফি-র অসামান্য মিউজিকের পাশে নেহাতই ম্যাড়মেড়ে প্রাণহীন।
সোনাক্ষী সিংহের তেমন কোনও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নেই। আই-ক্যান্ডি হয়ে থাকারই সামিল। নাচ গানের দৃশ্যেও তেমন কোনও ছাপ ফেলেন না। অভিনয় করার তেমন সুযোগ ছিল না। তবে সোনাক্ষী নাকি পরিচালকের গোল্ডেন গার্ল। বলিউডের যেকোনও পরিচালক এখন অ্যাস্ট্রোলজি কনসাল্ট না করেই সোনাক্ষীকে নিয়ে নেন। তাতে নাকি একশো কোটির ল্যান্ডমার্ক পেরতে বেশি টাইম লাগে না!