রাজা রামমোহন রায়কে 'ব্রিটিশদের চামচা', 'দেশদ্রোহী' বলে আক্রমণ, সমালোচনার মুখে অভিনেত্রী পায়েল
রাজা রামমোহন রায়কে 'ব্রিটিশদের চামচা' 'দেশদ্রোহী' বলে বিতর্ক তৈরি করলেন অভিনেত্রী পায়েল রোহতগী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কিছুদিন আগে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে দেশের রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল। আর এবার রাজা রামমোহন রায়কে 'ব্রিটিশদের চামচা' 'দেশদ্রোহী' বলে বিতর্ক তৈরি করলেন অভিনেত্রী পায়েল রোহতগী।
গত ২৫ মে ও ২৬ মে অভিনেত্রী তথা ২০০৮ এর 'বিগবস'-এর প্রতিযোগী পায়েল রোহতগী নিজের টুইটার হ্যান্ডেল 'পায়েল রোহতগী অ্যান্ড টিম ভক্তস অফ ভগবান রাম' লেখেন, ''রাজা রামমোহন রায় ব্রিটিশদের চামচা ছিলেন। সতীদাহ প্রথা রদ করতে ব্রিটিশরা রাজা রামমোহন রায়কে ব্যবহার করেছিল। সতীদাহপ্রথা কখনওই বাধ্যতামূলক ছিল না।মুঘল শাসকদের হাত থেকে হিন্দু মহিলাদের বাঁচাতেই সতীদাহপ্রথা চালু করা হয়েছিল। এটা সম্পূর্ণ মহিলারদের ইচ্ছার উপরই নির্ভর করত। সতীপ্রথা কখনও পশ্চাদমুখী কোনও প্রথা নয়। ''
আরও পড়ুন-যা রটে, তা ঘটে! মনের মানুষের হাত ধরে হৃদয়-বন্ধনের স্বীকারোক্তি নুসরতের
Truth Behind Sati Pratha in India https://t.co/x1vn5l6Xcy via @YouTube #Jauhar was an incident related to Padmavati during Mughal Khiljis invasion. Later society with d help of traitors like Raja Ram who Britishers used 2 divide society made Sati into an evil forceful practice
— PAYAL ROHATGI & Team -BHAKTS of BHAGWAN RAM (@Payal_Rohatgi) May 26, 2019
এখানেই শেষ নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে গর্বিত হিন্দু বলেও ব্যাখ্যা দিয়ে বেশকিছদিুন ধরে জহর ব্রত, সতীদাহ প্রথা নিয়ে হাজারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন পায়েল। তবে পায়েলেরে এধরনের কথাবার্তায় বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা। পায়েলকে পাল্টা আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তাঁরা। কেউ লিখেছেন, '' একেই বলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।'' কেউ আবার লিখেছেন, ''পায়েল তো দেখছি ইতিহাসকেই বদলে দেবেন।'' কেউ আবার লিখেছেন, '' মোঘল শাসনাধীন না থেকে নেপালে কেন সতীদাহ প্রথা চালু ছিল? '' কেউ বলছেন ''পায়েল বাক স্বাধীনতার অধিকারের অপব্যবহার করছেন।'' দেখুন কে কী লিখেছেন...
Please.. this was the last thing I would ever want to see!
India is a land of free speech and forever will be.. so, exercising my rights of free speech, I must tell people like payal are simply idiots!! How can a man who fought for woman empowerment can ever be regressive! https://t.co/ZhDPDDAqXR
— abhishek kar (@abhishekavk) May 27, 2019
Holy smokes! Where did this one come from? Raja Ram Mohan Roy, the great reformist, is now a “chamcha” of the British! Wonderful. Here come new India’s historians. https://t.co/ToBeE68Hme
— Pritish Nandy (@PritishNandy) May 26, 2019
As a Bengali, I feel angry at this false defamation of one of most important social reformers of Indian history. Raja Rammohan Roy was one of the main stalwarts of the Renaissance in Bengal and Sati-daha was one of the cruelest traditions of India which was abolished due to Roy. https://t.co/4rZ4QytUkQ
— Sony (@shouryyamitra) May 27, 2019
"The superstitious practices which deform the Hindu religion have nothing to do with the pure spirit of its dictates." - Ram Mohan Roy
And his is the name we must repeat and remember now more than ever, instead of giving space to a two penny troll.
— Sayantan Ghosh (@sayantansunnyg) May 27, 2019
Only in India will you find such loony tunes that support the barbaric and regressive act of Sati. https://t.co/DXsBg419ow
— Fekuchand Contractwala (@FEKUSTREANH) May 27, 2019
This is a cognizable offence under #Sati (Prevention) Act 1987: "Whoever does any act for the glorification of sati shall be punishable with imprisonment for a term which shall not be less than one year but which may extend to 7 yrs..."@NCWIndia please take note. @MumbaiPolice https://t.co/aKDsfPUhxA
— Geeta Mohan گیتا موہن गीता मोहन (@Geeta_Mohan) May 27, 2019
Education makes a wise man wiser..
It also makes a fool lot more dangerous.
Dragging wife to the pyre of husband was actually a good tradition. Those who opposed it were trying 'to defame the Sati tradition'. https://t.co/VgeGWQgVUR— P. ভট্টাচার্য (@hungrybengali) May 27, 2019
You might be an ignorant Bhakts but you don't get to slander our prominent historical figures like Raja Ram Mohan Roy,who not only abolished sati but was played a major role in renaissance of India
You also mention woman willingly performed sati do provide reliable citation— Hemankpie (@hemankpie) May 27, 2019
Raja RamMohan Roy worked towards abolition of #Sati after he saw his sis-in-law being burnt alive in her dead husband's pyre. He couldn't prevent it then but he brought about a social change that prevented women like u & me being thrown into fire. Woman, get your history right. https://t.co/jGEgAeLWxo
— Bhavani Giddu (@bgiddu) May 27, 2019
People have actually liked & retweeted this garbage! Promoting Sati is a criminal offence under Indian Law. What kind of brain washing leads to such statements/beliefs? Why so much self loathing? She needs counselling. Urgently. https://t.co/lj68WlKEmq
— Mona Ambegaonkar (@MonaAmbegaonkar) May 26, 2019
Here's another beauty. Possibly a time traveller! Who knows! Such knowledge literally impedes our own understanding of history. One who believes that 'Sati wasn't regressive' but was woman's choice definitely deserves a better place in the history books than Raja Rammohan Roy. https://t.co/Ic2XcMkJs5
— Dheerandra Palipi (@dheerandra) May 26, 2019
1. #Sati was a regressive, misogynistic practice perpetrated & perpetuated by the Hindu society & Rammohan Roy- a visionary helped to eradicate it.
2. You & your kind are a disgrace to this country.
No amount of lying, rewriting, trolling will change these facts.
GOD SAVE INDIA pic.twitter.com/6xgWynXklr— Ruchira Mandal (@RucchiraM) May 26, 2019
Imagine a 14 year old girl getting burnt alive. Are you dumb or think people are dumb to understand that she can really "chose"#Sati
— Dipsita (@DharDipsita) May 26, 2019
এখানেই শেষ নয়, পায়েল রোহতগী টুইটার হ্যান্ডলে চোখ রাখলে বেশ বোঝা যায়, বেশকিছুদিন ধরেই তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উস্কানিমূলক নানান কিছু পোস্ট করছেন। যার তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা। অনেকেই মনে করছেন ইচ্ছাকৃতভাবে খবরে উঠে আসার জন্যই এধরনের পোস্ট করছেন পায়েল।
আরও পড়ুন- এটা কি টিকটকের জায়গা? সংসদে পোজ দিয়ে ছবি তুলে সমালোচনার মুখে মিমি-নুসরত