মন খারাপ হলে শ্রাবন্তীকে ফোন করি: জিত
চ্যাম্পিয়ন(২০০৩), ওয়ান্টেড(২০১০), জোশ(২০১০), ফাইটার(২০১১)। জিত-শ্রাবন্তী যখনই একসঙ্গে পর্দায় এসেছেন বক্সঅফিস পরিসংখ্যান বলেছে ছবি সুপার-হিট। সেই জুটিকে নিয়েই এবার রবি কিনাগির বাজি দিওয়ানা। ফাইটার সুপারহিট হওয়ার টানা দু`বছর পর আবার একসঙ্গে একপর্দায় জিত-শ্রাবন্তী। দর্শকের আনুকুল্য পেলে দিওয়ানাই হবে এবছরের প্রথম সুপারহিট। ঠিক যেরকমটা হয়েছিল ফাইটারের ক্ষেত্রে। ছবি রিলিজের আগে কী ভাবছেন জিত-শ্রাবন্তী? দিওয়ানা থেকে প্রত্যাশাই বা কতটা? ছবির মুক্তির আগে ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি পার্থপ্রতীম চন্দ্র ও প্রমা মিত্রর সঙ্গে টি-টোয়েন্টি খেললেন জিত-শ্রাবন্তী।
চ্যাম্পিয়ন(২০০৩), ওয়ান্টেড(২০১০), জোশ(২০১০), ফাইটার(২০১১)। জিত-শ্রাবন্তী যখনই একসঙ্গে পর্দায় এসেছেন বক্সঅফিস পরিসংখ্যান বলেছে ছবি সুপার-হিট। সেই জুটিকে নিয়েই এবার রবি কিনাগির বাজি দিওয়ানা। ফাইটার সুপারহিট হওয়ার টানা দু`বছর পর আবার একসঙ্গে একপর্দায় জিত-শ্রাবন্তী। দর্শকের আনুকুল্য পেলে দিওয়ানাই হবে এবছরের প্রথম সুপারহিট। ঠিক যেরকমটা হয়েছিল ফাইটারের ক্ষেত্রে। ছবি রিলিজের আগে কী ভাবছেন জিত-শ্রাবন্তী? দিওয়ানা থেকে প্রত্যাশাই বা কতটা? ছবির মুক্তির আগে ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি পার্থপ্রতীম চন্দ্র ও প্রমা মিত্রর সঙ্গে টি-টোয়েন্টি খেললেন জিত-শ্রাবন্তী।
২৪ ঘণ্টা: এই বছরের প্রথম হিট ছবি হতে পারে দিওয়ানা। তোমাদের প্রত্যাশা কতখানি?
জিত: ফিংগারস ক্রসড! আমরা দিওয়ানার সঙ্গে যারা যারা যুক্ত রয়েছি, তারা সকলেই প্রার্থনা করতে পারি ঈশ্বরের কাছে। কারণ এটা এমন একটা কাজ যেটা করার পর রেজাল্টের জন্য দর্শকদের কাছে অপেক্ষা করে থাকতে হয়। কিন্তু যদি দিওয়ানার ইউনিটের ইতিহাস দেখা হয়, জিত-শ্রাবন্তী-রবি কিনাগি এর আগে একসঙ্গে যতগুলো ছবি করেছে ভগবানের আশীর্বাদে দর্শকরা সেগুলো খুব ভালভাবে গ্রহণ করেছেন। তাছাড়াও দিওয়ানার একটা খুব সুন্দর গল্পো রয়েছে, পুরো ইউনিট ক্যামেরাম্যান, ফাইট মাস্টার সকলেই খুব শক্তিশালী। পুরো টিম দিওয়ানার সাফল্য নিয়ে খুব আশাবাদী, খুব আত্মবিশ্বাসী। সবাই এই ছবির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির ট্রেন্ড যেরকম চলে তাতে এটাই বাস্তব যে দর্শকরাই ছবির শেষ বিচারক।
শ্রাবন্তী: এর আগে ২০১১ সালের শুরুর দিকে আমার আর জিতের একসঙ্গে ফাইটার রিলিজ করেছিল। হিট হয়েছিল। এবারও তাই হচ্ছে। ২০১৩-র একদম শুরুতেই আসছে দিওয়ানা। আমি খুব উত্তেজিত। যেহেতু এর আগে দর্শকরা আমাদের ছবি পছন্দ করেছে, আমাদের ভালবেসেছে, ছবি হিট হয়েছে, তাই এবারে প্রত্যাশা আরও বেশি।
২৪ ঘণ্টা: হিন্দি ছবিতে হিটের একটা নতুন মাপকাঠি তৈরি হয়েছে। একশো কোটির ছবি। বাংলা ছবিতে এই হিটের মাপকাঠিটা ঠিক কতটা?
জিত: হিন্দি ছবির মার্কেট আজকের দিনে এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছে যার সঙ্গে বাংলা ছবির কোনও তুলনা হয় না। হিন্দি ছবির দর্শক অনেক বেশি, সারা বিশ্বে হিন্দি ছবির একটা মার্কেট রয়েছে। সেখানে বাংলা ছবি অনেকটাই সীমাবদ্ধ। যদি ছবির বাজেটের টাকা বক্সঅফিস থেকে উঠে আসে তার মানেই আমরা ধরেনি ছবি হিট। এছাড়াও অন্যান্য খরচা রয়েছে যেমন স্যাটেলাইটের খরচ। তবে ছবি তৈরির খরচ উঠে গেলেই আমরা বলি হিট হয়েছে।
২৪ ঘণ্টা: বক্সঅফিসের বাইরে তোমার কাছে হিট মানে ঠিক কী?
জিত: আমার মনে হয় ছবি যদি দর্শকের মনে দাগ কাটে, ছবি রিলিজের পর রাস্তাঘাটে বেরোলে ছবি সংক্রান্ত আলোচনা যদি কানে আসতে থাকে তার মানে ছবি হিট। (পাশ থেকে সায় দিলেন শ্রাবন্তী)।
২৪ ঘণ্টা: (শ্রাবন্তীকে) একটা কথা প্রচলিত আছে যে, ছবির সমস্ত ক্রেডিট নায়করা নিয়ে চলে যায়। তোমার কী এরকম কিছু মনে হয়?
শ্রাবন্তী: না, একেবারই না। একটা ছবিতে যে যার জায়গায় সেরা। আমি মনে করি নায়িকা ছবিতে একটা রিলিফের জায়গা। নায়ক ফাইট করছে, মারামারি করছে সেখানে নায়িকার ভয় পাওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না। আমারও মাঝে মাঝে একটু ঘুষি মারতে ইচ্ছা করে(হাসি)...নায়িকাকে দেখলে দর্শক একটু রিলিফ পায়।
২৪ ঘণ্টা: বাংলা ছবির নায়িকারা কবে ঘুষি মারবে? তুমিও কি নিজেকে শুধু রিলিফের জায়গা থেকেই দেখ?
শ্রাবন্তী: না না একদমই না আমি মনে করি...(শ্রাবন্তীকে থামিয়ে প্রশ্ন নিজের দিকে নিয়ে নিলেন জিত)
জিত: আমি মনে করি নায়িকাও নায়কের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সবার দায়িত্ব আলাদা আলাদা থাকে।
শ্রাবন্তী: একদম।
জিত: অনেক ছবির গল্পো থাকে যেখানে নায়িকার চরিত্র নায়কের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।
শ্রাবন্তী: হ্যাঁ...
জিত: এই ছবিতে শ্রাবন্তীর চরিত্র শ্রুতির চরিত্রের শেডস আমার চরিত্রের থেকে অনেক বেশি। শ্রুতির চরিত্র এখানে রিলিফের থেকে অনেক বেশি কিছু।
শ্রাবন্তী: সমস্ত ক্রেডিট নায়ক নিয়ে চলে যায় এটা আমার খুব অদ্ভুত লাগছে শুনে। আমি কোনওদিন এটা শুনিইনি।
২৪ ঘণ্টা: আমরা তোমাদের সঙ্গে একটু টি-টোয়েন্টি খেলতে পারি?
জিত: দিওয়ানা রিলিজ হতে চলেছে এখন হিরো-রিরোইনকে এভাবে আলাদা করে দেবে?
শ্রাবন্তী: হ্যাঁ, প্লিজ করো না এরকম...
জিত: তাও দেখি খেলে কেমন এনজয় করি
শ্রাবন্তী: হ্যাঁ..
২৪ ঘণ্টা: প্রথম প্রশ্ন দিওয়ানা দেখার তিনটে কারণ কী কী? দু`জনকে আলাদা উত্তর দিতে হবে।
জিত: প্রথমত, দিওয়ানা একটা মেনস্ট্রিম বিনোদনের ছবি। দ্বিতীয়ত, জিত-শ্রাবন্তী-রবি কিনাগি জুটিকে দর্শক আগেও পছন্দ করেছে। এবারেও আশা করব আমরা দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব। আর তিন নম্বর দিওয়ানার গল্পোটা খুব ভাল। ছবির মিউজিকও ভীষণ ভাল।
শ্রাবন্তী: এমা! সবই বলে দিয়েছে, আমি কী বলব বলো তো?
২৪ ঘণ্টা: খেলার নিয়ম যখন তোমাকে বলতেই হবে....
শ্রাবন্তী: ছবির গল্পোটা ভীষণ ভাল। একদম অন্য ধরণের। আর গান...(বলেই আড়চোখে দেখলেন জিতকে, আর তারপরই শ্রাবন্তীর সেই চেনা দুষ্টু হাসি)। আর আমাদের তিনজনের জুটি..(বলেই জিভ কাটলেন)
জিত: (ঠোঁটে প্রশ্রয়ের হাসি) তিনটেই একদম আলাদা বলল কিন্তু...
শ্রাবন্তী: (প্রচণ্ড হেসে)..এই ছবির লোকেশন মাসকট আর একটা কারণ। এটা প্লিজ চতুর্থ কারণ হিসেবে জুড়ে দিও।
২৪ ঘণ্টা: দ্বিতীয় প্রশ্ন, জিতের কোন জিনিসটা তোমার দারুণ লাগে যেটা এর আগে অন্য কোনও নায়িকা বলেনি?
শ্রাবন্তী: (জিতের দিকে তাকিয়ে হাসি) আমি সবসময় বলি...(থেমে আবার হাসি)..জিত ভীষণ সুন্দর দেখতে, আর মানুষ হিসেবে খুব সত্। ভেবেচিন্তে কথা বলে না। যা মনে হয় সেটাই বলে। মানুষ হিসেবে মনের দিক থেকে খুব ভাল।
২৪ ঘণ্টা: (জিতকে) আর তোমার?
জিত: শ্রাবন্তীর অভিনয় ক্ষমতা ঈশ্বরদত্ত। ভীষণ ভাল মানুষ। শি ইজ আ পার্সন উইথ লট অফ পজিটিভিটি। আমার অনেক সময় মন খারাপ থাকলে আমি শ্রাবন্তীকে ফোন করি। ওর সঙ্গে কথা বললে একটা পজিটিভ এনার্জি পাওয়া যায়।
২৪ ঘণ্টা: জিতের যদি কোনও কিছু বদলাতে হয় তাহলে কোনটা বদলাবে?
শ্রাবন্তী: বদলানোর মতো সেরকম কিছু এখনও দেখিনি আমি। আর আমি চাইলেই তো সেটা বদলে যাবে না। জিত বড্ড বেশি সুন্দর দেখেতে(আবার হাসি)...
জিত: আমি সবসময় মনে করি যারা আমার খুব কাছের, খুব প্রিয় তাদের যদি কিছু আমর খারাপ লাগে, বদলানোর ইচ্ছা হয় তাহলে সেটা আমি তাকে নিজে আলাদা করে বলব। কোনও পাবলিক প্ল্যাটফর্মে নয়।
২৪ ঘণ্টা: শেষ উত্তরটার জন্য জিত তুমি আমাদের টি-টোয়েন্টি জিতে গেলে।
জিত: থ্যাঙ্ক ইউ। (হাতে কাল্পনিক ট্রফি নিয়ে) ট্রফিটা আমি তোমার হাতেই তুলে দিলাম শ্রাবন্তী। আমরা এটা ভাগ করে নিলাম..
শ্রাবন্তী: (হাসি)...
২৪ ঘণ্টা: শেষ প্রশ্ন, ২৪ ঘণ্টার ওয়েবের পাঠকরা কেন দিওয়ানা দেখতে যাবেন?
শ্রাবন্তী: অনেকদিন পর জিত-শ্রাবন্তী একসঙ্গে ছবি করছে। ফেসবুকেও ফ্যানরা আমাকে অনেকদিন ধরে বলছিল জিত আর শ্রাবন্তীর আবার কবে একসঙ্গে ছবি আসবে। এখন ছবির মিউজিক রিলিজও হয়ে গেছে। বিভিন্ন চ্যানেলে গান দেখে কমেন্ট আসছে, "আর অপেক্ষ করতে পারছি না, কবে আসবে দিওয়ানা"? আমদের পুরো ইউনিট খুব পরিশ্রম করেছে। সেইজন্যই আরও বেশি করে চাইব যাতে দর্শকরা দিওয়ানা দেখতে আসে।
জিত: দর্শক যখন মেনস্ট্রিম কর্মাশিয়াল ছবি দেখতে যায় তখন আশা করে পুরো আড়াই ঘণ্টা যেন হলের ভিতর বসে এন্টারটেনড হয়। টিকিটের পয়সা যেন উশুল হয়। আমি নিশ্চিত, দিওয়ানা তাদের পুরোপুরি এই ফিলিংটা দিতে পারবে।
২৪ ঘণ্টা: যারা সচরাচর বাংলা ছবি দেখতে যায় না, তাদের হলমুখী করতে দিওয়ানা কী দিতে পারে?
জিত: তাদের এটাই বলতে পারি যে প্লিজ সিনেমা দেখতে যান। যদি হতাশ হন তাহলে আর যাবেন না। কাউকে জোর করে কিছু দেখানো যায় না...তবে যদি ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই বলব সেটা যেন সবার কাছে বলে যাতে আরও বেশি লোক সিনেমা দেখতে যায়, আরও বেশি মানুষের মনে দিওয়ানা দাগ কাটে।
শ্রাবন্তী: (জিতের কথার রেশ ধরেই) আমরা বলব প্লিজ দেখ...
২৪ ঘণ্টা: ছবির চমকটা ঠিক কোথায়?
জিত: গল্পের মধ্যে একটা টুইস্ট আছে...
শ্রাবন্তী: যেটা আমরা এখন বলব না।
২৪ ঘণ্টা: অনেক ধন্যবাদ দু`জনকেই। দিওয়ানার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
জিত: থ্যাঙ্ক ইউ।
শ্রাবন্তী: থ্যাঙ্ক ইউ।