Kabir Suman on KK-Rupankar: রূপঙ্কর-কেকে বিতর্কে দু'ভাগে বিভক্ত শিল্পী মহল, এবার এই প্রসঙ্গে কলম ধরলেন কবীর সুমন
সারা ভারতের চোখের জলে যিনি বিদায় নিলেন তাঁকে পরের জন্মে নজরুল মঞ্চেই ফিরে আসতে আবেদন করেছেন কবীর সুমন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেকে-রূপঙ্কর বিতর্কে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে শিল্পী মহল। প্রত্যেকেই রূপঙ্করের কথার বিরোধিতা করেছেন। তবে পাশাপাশি অনেকেই তাঁর পাশেও দাঁড়িয়েছেন। কারোর মতে অভিমান থেকে একথা বলেছেন রূপঙ্কর, কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর অ্যাটিটিউড নিয়ে। এবার এই প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য রাখলেন কবীর সুমন।
কেকে-রূপঙ্কর বিতর্কে একটি কবিতা লেখেন কবীর। সেই কবিতাটি তিনি নিবেদন করেছেন এই সময়কে। তিন স্তবকের এই কবিতায় প্রথম স্তবকে তিনি লিখেছেন,'রূপংকরের কথায় ওরেব্বাস/কেউ দেয় গাল কেউ রেগে খানখান/সন্ধ্যাকে লাথি মারল যখন কেউ/কেঁদেছিল একা বাংলাভাষার গান।'বর্তমানে বাংলা গান নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন রূপঙ্কর ও তাঁর পাশাপাশি নেটিজেনরাও নানা কথা লিখছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পদ্মশ্রী প্রত্যাখানের সময় কেন তাঁরা সোচ্চার হননি, সেই প্রশ্নই তুলেছেন কবীর সুমন।
মাত্র ৫৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কেকে। তাঁর এই অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না কবীর সুমন। তাঁর মতে, নিজের থেকে কুড়ি বছরের ছোট এই গায়কের গানই তাঁর কাল ডেকে আনল তাই মনখারাপ কবীরেরও। দ্বিতীয় স্তবকে কেকে-র উদ্দেশে তিনি লিখেছেন,'আমার চেয়েও কুড়ি বছরের ছোট/আমারই তো কথা তোমার আগেই যাওয়া/কিসের যে এতো তাড়া ছিল ছেলেটার/কাল হলো গান কাল হলো গান গাওয়া।'
শেষ স্তবকে কবীর লিখেছেন, তিনি জানেন যে কেকে যদি রূপঙ্করের কথা শুনতেন তাহলে নিশ্চয় রাগ করতেন না। রূপঙ্কর যে কথাগুলো অভিমান থেকে বলেছেন সে কথা বুঝতেন কেকে। তাই সারা ভারতের চোখের জলে যিনি বিদায় নিলেন তাঁকে পরের জন্মে নজরুল মঞ্চেই ফিরে আসতে আবেদন করেছেন কবীর সুমন। এক অলীক মঞ্চে একই সঙ্গে গাইবেন রূপঙ্কর-কেকে, সেই চিত্রই শব্দে এঁকেছেন কবীর সুমন, লিখেছেন-'রূপংকরের কথায় রাগোনি জানি/বুঝেছ ছেলের অসহায় অভিমান/পরের জন্মে ফিরে এসো নজরুলে/গাইবে দুজনে তাঁরই বাংলা গান।।'