ফটোশ্যুটে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করেন নিহালানি, বিস্ফোরক কঙ্গনা
কঙ্গনা যে অভিযোগ এনেছেন তা শুনে কিন্তু আপনার নিহালানিকে বিন্দুমাত্র 'সংস্কারি' মনে হবে না, বরং উল্টোটাই...
নিজস্ব প্রতিবেদন: একসময় সেন্সর বোর্ডের 'সংস্কারি' চেয়ারম্যন হিসাবে বেশ আলোচনায় উঠে এসেছিলেন পহেলাজ নিহালানি। সিনেমায় অল্পবিস্তর ঘনিষ্ট দৃশ্য থাকলেই তাতেই কাঁচি চালানোর বদনাম হয়েছিল নাক উঁচু নিহালানির। তবে সম্প্রতি, বলিউডের 'কুইন' নিহালানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা শুনে কিন্তু আপনার তাঁকে বিন্দুমাত্র 'সংস্কারি' মনে হবে না, বরং উল্টোটাই...
বরাবরই কঙ্গনা রানাওয়াতকে ঠোঁটকাটা হিসাবেই বি-টাউন চেনে। যদিও অভিনয়ের দিক থেকে কঙ্গনা অনেককেই টেক্কা দেন। ২০০৬ সালে 'গ্যংস্টার' ছবির হাত ধরেই বলিউডে পা রাখেন কঙ্গনা। তারপর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তবে সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে সেন্সর বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কঙ্গনা। তাঁর অভিযোগ, ''পহেলাজ নিহালানি আমাকে তাঁর 'আই লাভ ইউ বস' বলে একটি ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব দেন। যে ছবির ফটোশ্যুটের জন্য আমাকে কোনওরকম অন্তর্বাস ছাড়াই ট্রান্সপারেন্ট পোশাক পরতে বাধ্য করা হয়েছিল। যদিও আমি পরে সেই ছবিটা থেকে সরে আসি।''
আরও পড়ুন-এপ্রিলের এই দিনেই বিয়ে করছেন অর্জুন-মালাইকা
আরও পড়ুন-মানসিক দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্য়ায়
কঙ্গনা আরও জানান, ''ছবির গল্পে মধ্যবয়সী অফিসের বসের সঙ্গে অল্পবয়সী যুবতীর প্রেম দেখানো হয়েছিল। যে ছবির গল্প আমার পর্নোগ্রাফির মতোই মনে হয়েছিল। তাই আমি এই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দি। যদিও প্রথমে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ফটোশ্যুট করতে হয়েছিল, পরে আমি আমার ফোন নম্বর বদলে ফেলি, যাতে ওরা আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ না করতে পারে। পরে আমি অন্যান্য ছবির জন্য অডিশন দিতে শুরু করি। তখনই পরিচালক অনুরাগ বসুর 'গ্যাংস্টার' (২০০৬) ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাই। পাশাপাশি পুরী জগন্নাথের 'পকিরি' ছবিতেও সুযোগ পাই। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টার পর একসঙ্গে দুটি ছবি হাতে আসে। তবে আমি 'গ্যাংস্টার' ছবিটিকেই বেছে নি। কিন্তু পকিরিও সুপার হিট হয়। পরে অবশ্য পরিচালক পুরী জগন্নাথ সঙ্গেও আমি কাজ করেছি।''
প্রসঙ্গত, কঙ্গনা রানাওয়াত এই মুহূর্তে একতা কাপুরের 'মেন্টাল হ্যায় কেয়া' ছবি নিয়ে ব্যস্ত। যেটা ২৯ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে।