KK death: নজরুল মঞ্চ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল KMDA
কেকে-র অনুষ্ঠানের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনটি এসি চলেছে।
দেবারতি ঘোষ : নজরুল মঞ্চের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর কেএমডিএ (KMDA) চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে রিপোর্ট জমা দিলেন কেএমডিএ-র আধিকারিকরা। নজরুল মঞ্চের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রিপোর্টে জানানো হয়েছে সেখানে ৯০০ টন করে মোট ২৭০০ টনের তিনটি এসি ইউনিট রয়েছে। কেকে-র অনুষ্ঠানের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনটি এসি চলেছে।
রিপোর্ট অনুসারে, অনুষ্ঠানের দিন মাঝপথে কিছুক্ষনের জন্য এসির একটি ইউনিট-এর ঠান্ডা কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দর্শক সংখ্যা বাড়তে থাকায় ঠান্ডা আবারও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কেকে-র মতো নামি শিল্পী অনুষ্ঠান করার কথা থাকায় ওইদিন সকাল এবং বিকেলে এসে এই মঞ্চের বিদ্যুতের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এবং কর্মীরা সমস্তকিছু খতিয়ে দেখেছিলেন। এমনকি আলোর ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হয়েছিল। তবে কোনওভাবেই এসি বন্ধ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, নজরুল মঞ্চে মোট সাতটি গেট রয়েছে। প্রথমে চারটি গেট খোলা হয়েছিল। তখন নির্দিষ্টভাবে দর্শকরা ধীরে ধীরে প্রবেশ করছিলেন। তবে নজরুল মঞ্চের মূল প্রাঙ্গনের বাইরে দর্শকদের লাইন পড়ে গিয়েছিল। যখন কেকে-র গাড়ি ভিআইপি গেটের সামনে এসে পৌঁছোয়, তখন তাঁকে দেখতে উপচে পড়ে ভিড়। কেকে-র গাড়ির সঙ্গেই বহু দর্শক ওই গেট দিয়ে ঢুকে পড়েন। এরপর বাধ্য হয়ে প্রত্যেকটি গেট খুলে দিতে হয়। যে কারণে ওই এসিগুলি ঠিকভাবে কাজ করেনি। সাতটি গেটই খোলা থাকায় বাইরের গরম বাতাস ভিতরে ঢুকছিল। পরে নজরুল মঞ্চের ভিতরের পরিস্থিতি দমবন্ধকর হয়ে উঠেছিল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে নজরুল মঞ্চের মূল প্রাঙ্গনে প্রবেশের জন্য মোট পাঁচটি গেট রয়েছে। প্রথমে দুটি গেট খোলা হয়েছিল। কিন্তু দর্শকরা সেই বন্ধগেটের পাশের পাঁচিল দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ তাঁদের আটকায়। তবে দর্শকদের ভিড়ের তুলনায় পুলিসের সংখ্যা ছিল অনেক কম। যে কারণে পাঁচিল টপকানো আটকানো যায়নি। এরপর মূল প্রাঙ্গনে ঢোকার পাঁচটি গেটের এর মধ্যে তিনটি গেট খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও পাঁচিল টপকানো আটকানো যায়নি। কেকে অনুষ্ঠান করে যখন বেরিয়ে যাচ্ছিল তখন সংগঠকদের তরফে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক ছিল না। এক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনোও ভূমিকা নেই। কোন নামি শিল্পী এলে সংগঠকদের আরোও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে জানিয়েছে কেএমডিএ।