Koneenica Banerjee: মেরুদণ্ডে জটিল সার্জারি, ‘বোবা’ হয়ে গিয়েছিলেন কনীনিকা
Koneenica Banerjee: 'আমার অবস্থা একদম ভালো ছিল না। আমার গলা দিয়ে কোনও আওয়াজ বেরোচ্ছিল না, শুধু হাওয়া বেরোচ্ছিল। আমি কথা বলতে পারছিলাম না। '
Koneenica Banerjee, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সবকিছু ভালোই চলছিল, ‘সহচরী’ হয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। মেরুদণ্ডে সমস্যা, তড়িঘড়ি সার্জারি করতে হবে, রাতারাতি চেন্নাই উড়ে যান অভিনেত্রী। সার্জারির আগেরদিন লাইভে এসে জানিয়েও দেন যে, কঠিন সার্জারি তবে লড়াই জারি আছে। খুব শীঘ্রই ফিরবেন তিনি। কাট টু, শোনা যায় যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ‘সহচরী’, কারণ সেটে ফিরতে পারছেন না অভিনেত্রী। কিন্তু কেন সেটে ফিরবেন না কনীনিকা? বুধবার লাইভে এসে কণীনিকা জানালেন তাঁর দুঃসাহসিক জার্নির কথা। অপারেশনের পর কীভাবে নিজের গলার স্বর হারিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী?
আরও পড়ুন:Alia Bhatt-Ranbir Kapoor: বিফ-বিতর্কে বিক্ষোভের মুখে আলিয়া-রণবীর, ঢুকতেই পারলেন না মন্দিরে!
লাইভে এসে কনীনিকা বলেন, ‘আমার স্পাইন সার্জারি হয়। সি সিক্স সি সেভেনে, স্পাইন প্রোল্যাপস করে গিয়েছিল। মেজর সার্জারি ছিল। ডা. সিদ্ধার্থ ঘোষ আমার সার্জারি করেছেন। এটা প্রথম নয়, এর আগে আজ থেকে আট বছর আগে আমার প্রথম সার্জারি হয়েছিল। তবে এইবার সার্জারিতে আমার ভয়েসটা পুরো ফেরত আসেনি। এখন হাসছি কিন্তু মাঝে আমার অবস্থা একদম ভালো ছিল না। আমার গলা দিয়ে কোনও আওয়াজ বেরোচ্ছিল না, শুধু হাওয়া বেরোচ্ছিল। আমি কথা বলতে পারছিলাম না। আমার বাবা, মা, স্বামী, মেয়ের মানসিক অবস্থা খারাপ ছিল। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় অল্পটুকু ফেরত এসেছে, আমি কথা বলতে পারছি, কিন্তু পুরোপুরি আসেনি। আশা করি আগামী দু-মাসে বাকিটা ফেরত আসবে। আমি অভিনয় শেখাই, যেখানে ভয়েস মডুলেশনটা গুরুত্বপূর্ণ, দুর্ভাগ্যবশত আমার ভয়েসের একটা অংশ ফেরত আসেনি, এমনকী এখন আমার কথা বলাও মানা’।
আরও পড়ুন: Urfi Javed: ‘বাড়ি গিয়ে মা-বোন-প্রেমিকার পোশাক নিয়ে মন্তব্য করো’, রেগে আগুন উর্ফি
‘সহচরী’ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘সকলেই জানো সহচরী বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই গলা নিয়ে অভিনয় হয়না, এটা আমি চ্যানেলকে জানাই, ওরা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি নিরুপায়। আমি হাঁটতে চলতে পারছি এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া, ভয়েস যে ফেরত আসেনি সেটা আমার দুর্ভাগ্য বলব না। কারণ আমি বরাবরই লড়াই করেছি। এটাও আমার কাছে একটা লড়াই। একজন শিল্পীর যদি গলা না থাকে সেটা সাংঘাতিক। কারণ শিল্পীরা তাঁর গলার আওয়াজ পরিবর্তন করে অনেক কিছু করতে পারে। আমার গুরুজনেরা সবাই পাশে আছে বলে ইমোশনাল জায়গাটা ঠিক আছে। তাড়তাড়ি ফেরত আসব, লড়ে যাচ্ছি। আমার ফিজিওথেরাপি চলছে, ভয়েসথেরাপি চলছে। খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারব। যতদিন না আসতে পারি মাঝে মাঝে লাইভে আসব। যেভাবে দর্শক এতগুলো বছর পাশে আছে, আমি কৃতজ্ঞ। সবসময় ফেসবুকে আমার নজর আছে, যেভাবে দর্শকেরা আমার পাশে ছিল, বাংলাদেশ থেকে দোয়া করেছে, আমি সত্যি কৃতজ্ঞ। আমি খুব ভালো আছি বলব না, দুর্বলতা আছে। আমার প্রচুর কাজ করা মানা, তার উপর কথা বলতে পারছি না, সত্যিই অনেকগুলো দিন অপেক্ষা করছিলাম লাইভে আসার জন্য’।
আরও পড়ুন: Nusrat Jahan-Yash Dasgupta: হাতির পিঠে চেপে পশুপ্রেমীদের কটাক্ষের মুখে যশ-নুসরত
কনীনিকা শুধু তাঁর গল্পই শেয়ার করেননি, তাঁর মতো যাঁরা নানা অসুখে ভুগছে, তাঁদের সাহস প্রদান করে অনুপ্রাণিত করেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত নই। কারণ আমি জানি বিশ্ব সংসারে বেঁচে থাকতে হলে চ্যালেঞ্জ থাকবেই। ভালো থাকার জন্য লড়তেই হবে। তবে ভালো ভাবনা ও ভালো হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের এগিয়ে নিয়ে চলে। কিয়ার(কণীনিকার মেয়ে) জন্য ভালো থাকতে হবে। অভিনয় করতে আমি ভালোবাসি, তারজন্য আমায় ফিরতে হবে। তাই রাস্তা খুঁজছি। যতদিনই হোক, আবার পুরনো আওয়াজ নিয়েই ফিরতে চাই। এবার আশা করি তোমরা বুঝতে পারছ কেন সহচরীতে আমি ফিরতে পারিনি। আমার পুরো পরিবার আমার পাশে আছে। কথা বলতে পারছি না বলে বাড়ি থেকে বেরোতেও ইচ্ছে হয় না, কিন্তু বন্ধু বান্ধব পরিবারের তরফ থেকে জোর করা হয়। অনেক বছর পর বই পড়ছি, সিনেমা দেখছি, বাড়িতে থাকছি, নিজের জন্য সময় পাচ্ছি। তাই সার্জারিটা আমি পজিটিভভাবেই গ্রহণ করেছি।’