Khushbu Sundar: আরজি করের প্রতিবাদে সাহস পাচ্ছেন অনেকেই, বাবার হাতেই 'ধর্ষিতা' নায়িকা এবার মুখ খুললেন...
#MeToo in Mollywood: আরজি কর-কাণ্ডে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার পরে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন আট থেকে আশির নারীরা। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অনেকেই। ইতোমধ্যেই মালায়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রায় ১৮ জন অভিনেত্রী। এবার মুখ খুললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ও বিজেপি নেত্রী, অভিনেত্রী খুশবু সুন্দর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি করে (R G Kar Incident) ঘটে যাওয়া ঘটনার পর প্রায় সবক্ষেত্রের নারীরাই কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন। ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মি টু মুভমেন্ট (#MeToo)। বিগত কয়েকদিনে কর্মক্ষেত্রে সুস্থ কাজের পরিবেশ নিয়ে সরব হয়েছে মালায়ালম বিনোদনের জগতে একের পর পর এক তারকা। সম্প্রতি হেমা কমিটির রিপোর্ট (Hema Committee Report) আসার পর যৌন হেনস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ খুশবু সুন্দর (Actor and Politician Khushbu Sundar)। খুশবু লিখেছেন, তিনি শৈশবে তাঁর বাবার হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- #MeToo in Mollywood: যৌন হেনস্থার শিকার ১৭ জন অভিনেত্রী, অভিযোগ জানাতেই মুহুর্মুহু হুমকি...
মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক যৌন হেনস্থার খবর প্রকাশ্যে আসতেই খুশবু সুন্দর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘অভিনন্দন সেই সব নারীদের যারা তাঁদের জায়গায় অটল থেকে বিজয়ী হয়েছেন। হেমা কমিটির রিপোর্ট নিয়ে তিনি প্রশংসা করেছেন দক্ষিণের সেই সব নারীদের যারা সঙ্কোচ না করে এগিয়ে এসেছেন। অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, অনেক সময় দুর্ব্যবহার, যৌন হেনস্থা এসবের শিকার হয়েও মহিলারা তাঁদের কেরিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপোস করে থাকেন। কেন একজন মহিলাকে এই সব কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হবে? পুরুষদের দোষ হলেও নারীদেরই এর খেসারত বহন করতে হয়। তাই আপনি শুধু আওয়াজ তুলুন। আপনার আওয়াজ ক্ষত নিরাময় এবং মূল থেকে রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করবে'।
This moment of #MeToo prevailing in our industry breaks you. Kudos to the women who have stood their ground and emerged victorious. The #HemaCommittee was much needed to break the abuse. But will it?
Abuse, asking for sexual favors, and expecting women to compromise to…
— KhushbuSundar (@khushsundar) August 28, 2024
গত বছরই তিনি জানিয়েছিলেন যে মাত্র ৮ বছর বয়সে তাঁর বাবাই যৌন নিগ্রহ করেছিল। ১৫ বছর বয়সে তিনি সরব হলে, বাবার বিরোধিতা করতে শুরু করলে, তাঁর বাবা পরিবার ছেড়ে চলে যায়। সম্প্রতি হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ও বিজেপি নেত্রী বলেন, “আমি মানছি আমার এই বিষয়ে আগেই বলা উচিত ছিল। কিন্তু আমার সঙ্গে যা হয়েছিল, তা কেরিয়ার গড়ার জন্য কোনও সমঝোতা ছিল না। যে হাত সবথেকে শক্তভাবে ধরার কথা ছিল, তার হাতেই নিগৃহীত হয়েছিলাম আমি।”
আরও পড়ুন- Sreelekha Mitra: প্রতি পোস্টে তুলোধনা, ফেসবুকের গোঁসাঘরে খিল দিলেন শ্রীলেখা...
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ২৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্টটি কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল যৌন হেনস্থার অভিযোগ। বিচারপতি হেমার নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। চলতি মাসে সেই কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই উত্তাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। সম্প্রতি হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রসঙ্গে মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের অবস্থান জেনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)