'দেবদূত' হয়ে দুঃস্থ ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালেন, কলেজে ভর্তির টাকা নিজেই দিলেন দেব

খানিকটা যেন 'দেবদূত' হয়েই দুঃস্থ ছাত্রী জয়শ্রীর পাশে দাঁড়ালেন ঘাঁটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব (দীপক অধিকারী)।

Edited By: রণিতা গোস্বামী | Updated By: Sep 12, 2020, 03:20 PM IST
'দেবদূত' হয়ে দুঃস্থ ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালেন, কলেজে ভর্তির টাকা নিজেই দিলেন দেব

কিরণ মান্না:  স্বপ্ন ছিল মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার। বাবা-মা চেয়েছিলেন একমাত্র মেয়ে জয়শ্রী বড় হয়ে ডাক্তার কিংবা উকিল হবেন। তবে তাঁদের সে সমস্ত স্বপ্নে জল ঢেলে দিয়েছে আর্থিক অনটন। তবে খানিকটা যেন 'দেবদূত' হয়েই দুঃস্থ ছাত্রী জয়শ্রীর পাশে দাঁড়ালেন ঘাঁটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব (দীপক অধিকারী)।

একপ্রকার পড়াশুনা বন্ধ হতে বসেছিল পাঁশকুড়ার দুঃস্থ ছাত্রীর। বছর দশেক আগে জয়শ্রীর বাবার পা কেটে বাদ যায়। তারপর থেকে দীর্ঘদিন বাড়িতেই। জয়শ্রীর মা অন্য়ের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। বাড়িতে চারজন সদস্য়। কষ্টেই দিন কাটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার ময়নাডাল এলাকার ছাত্রী জয়শ্রী রানার। মাধ্যমিক দেওয়ার পর থেকে সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে অনেকটাই তুলে নিয়েছিল জয়শ্রী।  টিউশন পরিয়ে মা, বাবা ,ভাইকে যতটা সম্ভব সাহায্য করে সে। ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ, বাবার ওষুধের দায়িত্ব জয়শ্রী উপর। তা সত্ত্বেও নিজের পড়াশোনা বন্ধ রাখেনি জয়শ্রী। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জয়শ্রী পায় ৩৬৫। তার এবার কলেজ জীবন শুরুর পালা। কিন্তু কলেজের পড়াশোনার খরচ বহন করার মতো সামর্থ্য  নেই জয়শ্রীর পরিবারের।

আরও পড়ুন-মা হলেন শুভশ্রী, রাজ-শুভর পরিবারে এল নতুন অতিথি

আরও পড়ুন-ফের খারাপ খবর, ৩৫এই চলে গেলেন গায়িকা অনুরাধা পড়োয়ালের ছেলে আদিত্য

বাংলা অনার্স নিয়ে পড়তে চেয়েছিল জয়শ্রী। পাঁশকুড়া কলেজে ফর্মও তোলে সে। তবে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ চালাবে কী করে? এটা ভেবেই জয়শ্রী নিজে গ্রাম পঞ্চায়েতের ও পাঁশকুড়া তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অনামিকা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ঘাটালের সাংসদ দীপক( দেব) অধিকারীর প্রতিনিধিরা জয়শ্রী সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দেব নিজে ফি দিয়ে জয়শ্রীকে কলেজে ভর্তি করান। শুধু তাই নয়, জয়শ্রীর পড়াশোনা কোনওরকম অসুবিধা হলে সাংসদ দেব নিজেই দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

জয়শ্রী মা উমা রানা এবং বাবা অম্বরনাথ রানা বলেন, ''সাংসদ দীপক (দেব) অধিকারী দেবদূত হয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা খুব উপকৃত হলাম। আমাদের খুব দুশ্চিন্তা ছিল হয়তো আমরা আর আমাদের মেয়েকে পড়াশোনা করাতে পারবো না। আমাদের মেয়ের পড়াশোনার বন্ধ হতে বসেছিল। তবে সাংসদ সহযোগিতা করায় আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছে  জয়শ্রী।

.