নীল-তৃণার 'এক মুঠো আশা', একাধিক প্রকল্প নিয়ে মানুষের পাশে পাওয়ার কাপল
মেদিনীপুরে সর্বহারা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন দম্পতি
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলছে। এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝেই ইয়াসের হানা আরও সমস্যায় ফেলেছে মানুষকে। প্রচুর মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছেন, বাসস্থান নেই, জুটছেনা দুবেলা দুমুঠো খাবারও। এহেন পরিস্থিতিতে সাধ্যমতো সকলেই ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁদের দিকে। এবার এই দলে নাম লেখালেন নীল-তৃণাও।
কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টায় নীল ও তৃণা। টলিউডের কিউট কাপল, যাঁদের মুখে সবসময় লেগে থাকে হাসি। এবার সকলের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টায় তাঁরা। সঙ্গে পেয়েছেন কয়েকজন বন্ধুকেও। তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন দিব্যাঞ্জনা, স্যাঙ্কি, সপ্তর্ষী, আবীর, বিকাশ, তানিয়া, একতা । সকলে মিলে নতুন NGO-র নাম দিলেন 'এক মুঠো আশা'।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফ থেকে নীল ও তৃণার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান-আগের বছর থেকেই ইচ্ছে ছিল করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু হয়ে ওঠে নি। নীলের মতে-'এবার দুটি প্রকল্প দিয়ে শুরু করছি। ইয়াসের কবলে পড়ে মেদিনীপুরে যারা সর্বাহারা, তাঁদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শুরু করে মশারি, চাদর, খাবার, কাঁচা আনাজ , চাল, ডাল সবই প্রায় দুহাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দেব আমরা। শেল্টার হোমে আশ্রয় নিয়েছেন যাঁরা তাঁদের জন্যই এই প্রচেষ্টা। আর দ্বিতীয় প্রকল্প হল সবাই মিলে একটা সেফ হোম খোলার চেষ্টা করছি। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য তৈরি করা হবে এই সেফ হোম। প্রথম দিকে যাঁদের অক্সিজেনের অভাব বা যাঁদের আইসোলেটেড হওয়া প্রয়োজন তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করব। আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলছি যাতে খুব তাড়াতাড়ি এই প্রকল্প শুরু করা যায়।'
আরও পড়ুন:পাহাড়ে ঘুরে এলেন শ্রাবন্তী, সঙ্গে তাঁর নতুন বয়ফ্রেন্ড? গুঞ্জন তেমনই..
এই ধরনের কাজে যুক্ত হতে পেরে খুশি তৃণাও। তৃণার মতে 'বন্ধুরাও এগিয়ে এসেছেন, বেশি মানুষ সঙ্গে থাকলে অনেক বেশি পরিমাণ মানুষকে সাহায্য করা যাবে। যাদের খুব প্রয়োজন তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব এই সংস্থার মাধ্যমে। আমরা কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবই, সকলেরই আশা রয়েছে, তাই সব মিটে গেলেও অন্য কাজের ইচ্ছে রয়েছে আমাদের। নীলের পোষ্যদের জন্য কাজ করার ইচ্ছে অনেকদিনের, আমার ইচ্ছে বয়স্কদের জন্য কাজ করা, এছাড়াও শিশু শ্রমিকেদর কাজ করার বিরুদ্ধে আমি। দিদি অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন, আমিও চাই এই দিকটায় নজর দিতে।'
খুব তাড়াতাড়ি সেফ হোম শুরু করবেন তাঁরা, জায়গার খোঁজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিজেরাই তুলে দেবেন সকলের হাতে।