ঝুলিতে অসংখ্য পুরস্কার, অতুলনীয় প্রতিভা, তবুও কোনও অজানা কারণে ব্রাত্যজনই রয়ে গেলেন কিংবদন্তী মান্না দে
পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে। ঝুলিতে অসংখ্য সম্মান। তবুও কোথাও যেন না পাওয়ার যন্ত্রণা। যোগ্য সম্মান না পাওয়া, ব্রাত্য হওয়ার বিষাদ। কিছুটা রবীন্দ্রনাথের চোখের বালির বিহারীর মত। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ দশকের সঙ্গীতজীবনে তার প্রভাব পড়েনি। প্রতিটি গানেই স্বতন্ত্র বলিউডের ক্লাসিকাল কিং। আর তাই হাজারো প্রশ্নের ভিড়ে জীবন্ত কিংবদন্তী মান্না দে থাকবেন লাখো মানুষের মণিকোঠায়।
পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে। ঝুলিতে অসংখ্য সম্মান। তবুও কোথাও যেন না পাওয়ার যন্ত্রণা। যোগ্য সম্মান না পাওয়া, ব্রাত্য হওয়ার বিষাদ। কিছুটা রবীন্দ্রনাথের চোখের বালির বিহারীর মত। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ দশকের সঙ্গীতজীবনে তার প্রভাব পড়েনি। প্রতিটি গানেই স্বতন্ত্র বলিউডের ক্লাসিকাল কিং। আর তাই হাজারো প্রশ্নের ভিড়ে জীবন্ত কিংবদন্তী মান্না দে থাকবেন লাখো মানুষের মণিকোঠায়।
সত্যিই কি অভিমানে চলে গেলেন ক্লাসিকাল কিং ?
কিংবদন্তী মান্না দে যে তাঁর যোগ্য সম্মান পাননি সে কথা স্বীকার করেছেন
১৯৪২ সালে সঙ্গীত জীবনের পথ চলা শুরু। কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দের সঙ্গে পাড়ি দিলেন মুম্বই। উনিশশো বেয়াল্লিশেই প্রথম হিন্দি সিনেমায় প্লে ব্যাক। তারপর অসংখ্য হিট গান। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে আধুনিক, সবক্ষেত্রেই অনায়াস যাতায়াত ছিল শিল্পীর।
মুম্বইয়ে তখন শঙ্কর জয়কিষাণ, ওপি নাইয়ার, মদনমোহন, বসন্ত দেশাই, নৌশাদ, শচিনদেব বর্মণ, সলিল চৌধুরীদের মত তারকা সঙ্গীত পরিচালকদের ভিড়। প্রায় প্রত্যেকেরই সুরে গান গাইলেন মান্না দে। প্রায় প্রত্যেকটি গানই অসম্ভব হিট।
কিন্তু কোনও সঙ্গীত পরিচালকই ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করলেন না এই প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পীকে।
সেইসময় বলিউডে রাজত্ব করছেন রাজ কাপুর, দীলিপ কুমার, দেব আনন্দ। একমাত্র রাজ কাপুরের লিপেই বেশিরভাগ গান গেয়েছেন মান্না দে। কিন্তু তাও ধারাবাহিকভাবে নয়। বলিউডে পার্শ্বচরিত্রের লিপেই জায়গা পেয়েছে অসামান্য প্রতিভাধর এই শিল্পীর গান।
বলিউডের ক্লাসিকাল কিংয়ের তকমা জুটেছিল মান্না দের। কিন্তু কটা ছবিতেই বা থাকত ক্লাসিকাল গান। তাই বেশিরভাগ ছবিতেই নায়কের লিপে ব্রাত্য মান্না দে। মূলত পার্শ্বচরিত্রের গায়ক হয়েই টক্কর দিয়ে গেয়েছেন রফি, কিশোর, মুকেশদের। অনেকেই মনে করেন, মূল চরিত্রের লিপে গান গাইবার সুযোগ পেলে বদলে যেতে পারত বলিউডের প্রায় তিন দশকের প্লে ব্যাকের ইতিহাস। তাই অভিমান ছিল। হয়তো প্রিয়জনেদের কাছে গোপন করেননি সেকথা। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ দশকের সঙ্গীতজীবনে কখনও তার প্রভাব পড়েনি। প্রতিটি গানেই আলাদাভাবে চেনা গিয়েছে মান্না দেকে। তাঁর প্রয়াণে শেষ হল সঙ্গীতের স্বর্ণযুগের এক অধ্যায়ের। প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেলেন, সত্যিই কি যোগ্য সম্মান পেলেন না কিংবদন্তী এই শিল্পী।