নিজস্ব প্রতিবেদন : বেশ কিছুদিন ধরে নাকি তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফোন করে বলা হচ্ছে অশ্লীল কথাও। আর সেই কারণেই এবার পুলিসের দ্বারস্থ হলেন টেলিভিশনের ‘ড্রামা কুইন’ রাখি সাওয়ান্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রিপোর্টে প্রকাশ, মুম্বইয়ের ওয়াশিওয়াড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাখি সাওয়ান্ত। আর সেখানেই তিনি দাবি করেন, তাঁকে তাঁকে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করা হচ্ছে। এবং দেওয়া হচ্ছে হুমকি। শুধু তাই নয়, যাঁরা রাখিকে ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা প্রত্যেকেই নাকি অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের সমর্থক।


আরও পড়ুন : সলমনের বান্ধবী ছিলেন শিল্পা?


প্রসঙ্গত সম্প্রতি নানা পাঠেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন তনুশ্রী দত্ত। সেখানে তিনি দাবি করেন, নানা পাঠেকর তাঁর যৌন হেনস্থা করেছেন 'হর্ন ওকে প্লিস'-এর সেটে। আর এরপরই রাখি পাল্টা দাবি করেন, বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত যে অভিযোগ করছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই। শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমের সামনে শুধুমাত্র ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে কথা বলছেন বলেই কি তনুশ্রী দত্তের অভিযোগকে বিশ্বাস করে নিতে হবে বলেও প্রশ্ন তোলেন রাখি। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা, নানা পাঠেকরের সঙ্গে রয়েছেন বলেও স্পষ্ট জানান টেলিভিশনের ‘ড্রামা কুইন’। রাখির ওই দাবির পরই নাকি তনুশ্রী দত্তের সমর্থনকারীরা তাঁকে ফোন করে হুমকি দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ করেন 'ড্রামা কুইন'।


আরও পড়ুন : নানার যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় মূল্য চোকাতে হচ্ছে, বললেন তনুশ্রী


 



জানা যায়, ‘হর্ন ওকে প্লিস’-এর সেটে নানা পাঠেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করে শুটিং ফ্লোর ছাড়েন তনুশ্রী দত্ত। এরপরই তনুশ্রীর জায়গায় নিয়ে আসা হয় রাখি সাওয়ান্তকে। ‘আশিক বনায়া আপনে’ অভিনেত্রীর জায়গায় রাখি সাওয়ান্তকে নিয়ে আসতেই কি তিনি তনুশ্রী দত্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।


আরও পড়ুন : অসুস্থ শ্রদ্ধা কাপুর, কী হল বলিউড অভিনেত্রীর!


এদিকে নানা পাঠেকর এবং বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলায় আইনি নোটিস পাঠানো হয় তনুশ্রী দত্তকে। এই দেশে কখনও কোনও প্রতিবাদ করলে, তাঁকে যে এইভাবে তার মূল্য চোকাতে হবে , তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন তনুশ্রী। পাশাপাশি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন রাখি। মহিলাদের সম্মান জানাতে পারেন না রাজ ঠাকরে। তাই তাঁকে কখনও ‘জননেতা’ বলা যায় না বলেও সরব হন বাঙালি অভিনেত্রী।


যদিও নানা পাঠেকর এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। মুখ খোলেননি পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীও।