অতীন্দ্র মায়ের টাকা আত্মসাৎ করছেন, বিস্ফোরক রানুর মেয়ে স্বাতী

নিজস্ব প্রতিবেদন: রানাঘাট রেলস্টেশনে গান গেয়ে, ভিক্ষা করে বেড়ানো রানু মণ্ডল এখন প্রায় তারকা। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন হয়ে উঠেছেন তিনি। আর রানুর এই জনপ্রিয়তা কারণ অতীন্দ্র চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির পোস্ট করা রানুর গানের ভিডিয়ো। এবার সেই অতীন্দ্র চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই ভয়ানক অভিযোগ আনলেন রানুর মেয়ে স্বাতী রায়।  

এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বাতী অভিযোগ করেন, তাঁর মায়ের টাকা পয়সা লুঠ করছেন অতীন্দ্র চক্রবর্তী নামে ওই ব্যক্তি। অতীন্দ্র নাকি তাঁর মাকে ব্যবহার করে টাকা রোজগার করছেন বলে অভিযোগ এনেছেন স্বাতী। তাঁর দাবি, রানাঘাটের স্থানীয় এক ক্লাবের সদস্যরা তাঁর মায়ের খেলাল রাখতেন। তাঁরাই নাকি তাঁকে তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না বলে দাবি স্বাতীর। তিনি জানান, অতীন্দ্র ও তপন নামে দুই ব্যক্তি ওই ক্লাবেরই সদস্য। তাঁরাই স্বাতীকে তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না বলে অভিযোগ। দেখা করতে চাইলে হুমকি দেওয়া হত তাঁকে। অতীন্দ্র ও তপন তাঁর মায়ের টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই তাঁকে তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্বাতীর। 

এখানেই শেষ নয়, স্বাতী রায়ের আরও দাবি, তিনি তাঁর মাকে দেখেন না বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি নাকি জানতেই না তাঁর মা স্টেশনে গান গাইতেন। স্বাতীর কথায়, বেশকিছুদিন আগে তিনি তাঁর মাকে ধর্মতলাতে দেখেন, তখন তিনিই ২০০ টাকা দিয়ে রানুদেবীকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। প্রতি মাসে মায়ের জন্য এক আত্মীয়র কাছে ৫০০ টাকা করে পাঠাতেন বলেও জানান রানুর মেয়ে। স্বাতী রায় আরও জানান, তিনি বিবাহবিচ্ছিনা সিউরিতে একটা ছোট দোকান চালান। তাঁর এক সন্তান রয়েছে। তবুও যতটা সম্ভব তিনিই তাঁর মায়ের দেখাশোনা করতেন। তিনি তাঁর মাকে বেশ কয়েকবার তাঁদের সঙ্গে এসে থাকতে বলেছিলেন, তবে রানু মণ্ডলই রাজি হননি বলে দাবি স্বাতীর। 

এখানেই শেষ নয় স্বাতী রায় আরও জানিয়েছেন, তিনি রানু মণ্ডলের প্রথম পক্ষের সন্তান। তাঁর এক দাদাও রয়েছে। রানু মণ্ডলের দ্বিতীয় পক্ষেরও দুই সন্তান রয়েছে, তাঁরা হয়তবা মুম্বইতে থাকেন, যদিও এবিষয়ে তিনি নিশ্চিত নয় বলেও জানিয়েছেন স্বাতী। যদিও কারোর সঙ্গেই কারোর যোগাযোগ নেই। তাঁর কথায় রানু মণ্ডল দ্বিতীয় বিয়ের পরই তিনি মুম্বইতে চলে গিয়েছিলেন। রানুর অন্য সন্তানদের বিরুদ্ধে স্বাতীর ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা কেন মায়ের দেখাশোনা করছেন না?