আটান্ন বসন্ত পেরিয়ে চিরযৌবনা রেখা
আটান্নতে পা দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ভানুরেখা গণেশন। তিনি ভারতীয় সিনেমার মায়া। তিনিই ভারতীয় ছবির প্রথম চাঁদনি। পৃথুলা থেকে চাবুকের মতো ধারালো হয়ে ওঠার নজিরে তিনি অদ্বিতীয়া।
আটান্নতে পা দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ভানুরেখা গণেশন। তিনি ভারতীয় সিনেমার মায়া। তিনিই ভারতীয় ছবির প্রথম চাঁদনি। পৃথুলা থেকে চাবুকের মতো ধারালো হয়ে ওঠার নজিরে তিনি অদ্বিতীয়া। দুই গভীর দুচোখের চোখের মায়াবী আবেদনে, সিক্ত রক্তাভ ঠোঁটের নেশায় এই উমরাও জান ভারতীয় সিনেমার একমেবাদ্বিতীয়ম এনিগমা। তাঁর আবেদনে দিশেহারা হয়েছেন আমজনতা থেকে দীর্ঘকায় পুরুষটি পর্যন্ত! রেখার আটান্নতম জন্মদিনে রইল ২৪ ঘণ্টার শ্রদ্ধা ভালবাসা।
শাওন ভাদো দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু রেখার। সালটা ১৯৭০। তবে রেখার সাফল্যের পথ কোনওদিনই মসৃণ হয়নি। অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে দো আনজানে বদলে দিল রেখার ভাগ্যরেখা। বিনোদ মেহরার বিপরীতে ঘর ছবিতে রেখার অভিনয় দর্শক মনে রাখবে চিরকাল। এরপর একে একে মিস্টার নটবরলাল, খুবসুরত, সিলসিলা, উমরাও জান, খুন ভরি মাঙ্গ, ইজাজত, আস্থা, কামসূত্র, বুলান্দি, জুবেইদা ছবিতে নিজের দৃপ্ত অভিনয়ের পরিচয় দিয়েছেন রেখা। ১৯৮২ সালে উমরাও জান ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কারও জেতেন রেখা। কোই মিল গয়া ছবিতে হৃতিক রোশনের মায়ের ভূমিকায় রেখাকে দেখে যাঁরা ভেবেছিলেন এবার বোধহয় মায়েদের দলেই ঢুকে গেলেন রেখা, তাঁদের সবাইকে চমকে দিয়ে মাত্র দুবছর পরেই ফিরে এসেছিলেন অসাধারণ আইটেম গান দিয়ে। ক্যায়সি পহেলি হ্যায় জিন্দেগানি। ছন্দে ছন্দে যৌবনের জয়গান। ছবির নাম পরিণীতা। সত্যিই। রেখাই পারেন।
রিল লাইফে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন বারবার উথাল পাতল হয়েছে। বিগ বির সঙ্গে সম্পর্ক, তিনবার ক্ষণস্থায়ী বিবাহ, স্বল্পবাক, রেখাকে করে তুলেছে আরও রহস্যময়ী। যা বলিউডে সত্যিই বিরল। ভারতীয় অভিনেত্রীরা নিজেদের সময়ে ডিভা হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে গৃহিণী তকমা গায়ে নিয়ে হারাতে থাকেন আবেদন। আসলে ভারতীয় পুরুষদের মন বোধহয় এখনও নিজের স্বপ্নের নারীটিকে কারও স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে পারে না। আর যদি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন হয় একটু ট্র্যাজিক, তাহলে ভারতীয় পুরুষের চোখে তিনি হয়ে ওঠেন আরও রহস্যময়ী। সেইজন্যই বোধহয় একাকিনী রেখার আবেদনও চিরকালীন।