Rituparna Sengupta on Gautam Halder: “বিদ্যার আগে ‘ভালো থেকো’ আমারই করার কথা ছিল...” গৌতম-প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ঋতুপর্ণা

শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন পরিচালক গৌতম হালদার। ঋতুপর্না সেনগুপ্ত পরিচালকের মৃত্য়ুতে শোকস্তব্ধ হয়ে বলেন, “বিদ্যার আগে ‘ভালো থেকো’ আমারই করার কথা ছিল...”।

জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন পরিচালক গৌতম হালদার(Gautam Halder)। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন পরিচালকের। নাট্যজগতের অন্যতম উজ্জ্বল তারা ছিলেন গৌতম হালদার। তাঁর নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয়েছে বহু নাটক। তার মধ্য়ে যা সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল তা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’।

পরিচালক গৌতম হালদার সিনেমা সম্পর্কে খুবই নিখুঁত ছিলেন। তাই কম হলেও তাঁর পরিচালিত প্রতিটি সিনেমাই প্রশংসার যোগ্য়। তাঁর জীবনকালে তিনি ৮০-রও বেশি নাটক পরিচালনা করেছিলেন। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’। এই নাটকেই নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে চৈতি ঘোষালকে।

পরিচালকের মৃত্য়ুর খবর পাওয়া মাত্রই সমস্ত কাজ বাতিল করে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেত্রী বিদ্য়া বালান। এই পরিচালকের হাত ধরেই কর্মজীবনের সূচনা করেছিলেন অভিনেত্রী। গৌতম হালদার পরিচালিত বিদ্যা বালানের জীবনের প্রথম সিনেমা ‘ভালো থেকো’ মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। কিন্তু আসলে নাকি প্রথমে এই ছবি করার কথা ছিল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর(Rituparna Sengupta)। 

ঋতুপর্না সেনগুপ্ত বলেন, ‘গৌতম দা যে আর নেই, তা ভাবতেই পারছিনা। এই তো ক’দিন আগেই শ্রদ্ধেয় মৃণাল সেন-এর ট্রিবিউটেও আমরা একসঙ্গে ছিলাম। অনেকদিন ধরেই আমাদের ইচ্ছে ছিল একসঙ্গে কাজ করার। কিন্তু সেই সুযোগ যে আর পাবো না তা ভাবতেই পারিনি। এমনকি ভালো থেকো সিনেমাটি আমারই করার কথা ছিল। সময়ের অভাবে হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এটা আমার লস যে আমি ছবিটি করে উঠতে পারলাম না। ছবির থেকেও বড় কথা গৌতমদার মতো একজন মানুষকে আমরা হারালাম। বুঝতেই পারলাম না তিনি এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। গৌতমদা যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।’