সুর সাম্রাজ্ঞী সলিলের প্রতি আজও কৃতজ্ঞ, আমরা হব না?
স্বরূপ দত্ত
লতা মঙ্গেশকরের এখন বয়স হয়েছে। মানুষটার গলা কোকিলের মতো। কিন্তু তাঁরও যে বয়স হলে হাঁটতে কষ্ট হয়। তিনি আর নিজের ওই দু’ পায়ে হাঁটতে পারেন না ভাল করে। চাকা লাগানো চেয়ারটাই এগিয়ে দেয়। সেই তিনিও নাকি ২০১৪-র পুজোতে কলকাতায় এলেন সলিল চৌধুরির করে যাওয়া সুরে গান গাইতে!
কেন আসবেন না, তিনি! এই বাংলায় লতা মঙ্গেশকরের জনপ্রিয়তা যে সলিলের থালায় করে সাজিয়ে দেওয়া। পা মা গা রে সা, ও গো আর কিছুই তো নাই, নিশিদিন নিশিদিন, মন লাগে না, ও আমার ময়না গো, সলিল চৌধুরি, লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে না গাইয়ে আরতি মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে গাওয়ালেও, গানগুলো চিরকালীনই হত, যেমনটা আজও হয়ে রয়েছে লতা মঙ্গেশকরের গলায়।
সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই বোধহয় সুরসাম্রাজ্ঞী আজও ভোলেননি তাঁর প্রিয় সলিলদাকে। সুর সাম্রাজ্ঞী, সলিল চৌধুরির মৃত্যুর এত বছর পরেও অসুস্থ শরীর নিয়ে তাঁরই সুর করা গান গাইতে আসছেন। কী বলবেন, সলিল চৌধুরি সেরা নন?