হকের পাওনা পেতে একজোট সঙ্গীতশিল্পীরা
কপিরাইট আইন অনুযায়ী রয়্যালটির হকের পাওনা পেতে এবার জোট বাঁধলেন কলকাতার সঙ্গীতশিল্পীরা। কপিরাইট থাকলেও বিভিন্ন জলসায়, রেস্তোরাঁয় এমনকি এফএম চ্যানেলগুলিতে যে গান বাজে, তার বিনিময়ে গান নির্মাতা বা গায়ক কেউই কোনও টাকা পান না।
কপিরাইট আইন অনুযায়ী রয়্যালটির হকের পাওনা পেতে এবার জোট বাঁধলেন কলকাতার সঙ্গীতশিল্পীরা। কপিরাইট থাকলেও বিভিন্ন জলসায়, রেস্তোরাঁয় এমনকি এফএম চ্যানেলগুলিতে যে গান বাজে, তার বিনিময়ে গান নির্মাতা বা গায়ক কেউই কোনও টাকা পান না। বুধবার সন্ধেয় শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে একটি শিবিরের আয়োজন করেছিল আইপিআরএস বা দ্য ইন্ডিয়ান পারফরমিং রাইটস সোসাইটি। আর সেখানেই নিজেদের পাওনা বুঝে নিতে একত্রিত হলেন শিল্পীরা।
এবার থেকে ডিস্কো থেক, পাব, জলসায় কোন শিল্পীর গান বাজাতে গেলে মেটাতে হবে টাকা। সেই টাকার অংশ পাবেন গানের নির্মাতা থেকে শিল্পীরা সকলেই। পাবলিক পারফরম্যান্স রাইটস নিয়ে গান বাজানোর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বহুদিনই। কিন্তু নজরদারি ও সচেতনতার অভাবে এতদিন প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত হতেন শিল্পীরা। বুধবারের অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "যারা গান বানাচ্ছি, গীতিকার এবং শিল্পিরা, তাঁরা পরবর্তীতে কতটা কী পাচ্ছি, এই ব্যাপারটা কলকাতায় খুব বেশি ডিপরাইভ্ড ছিল।"
শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য বলেন, "অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একজন পারফরমারের স্বার্থ রক্ষা হয় না। আমরা নিজেরাই হয়তো এই ব্যাপারগুলো এতদিন স্পষ্ট করে বোঝার চেষ্টা করিনি।"
শিল্পী অনুপম রায় বলেন, "আমি কি সৃষ্টিকর্তা নাকি অন্যকেউ সৃষ্টিকর্তা। আমার পাওয়ার যোগ্যতা আছে নাকি অন্য কারও পাওয়ার যোগ্যতা আছে। এই ব্যাপারগুলো খুবই গ্রে। কপিরাইট নিয়ে কোনও সংগঠন বলে দিচ্ছে আমরই পাওয়ার যোগ্যতা, সুতরাং আমি মাথা পেতে নেব।"
বুধবারের অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত নবীন শিল্পীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শহরের বহু প্রবীন শিল্পীরাও।