অভিনেত্রী ললিতা চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান

চলে গেলেন বাংলার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ললিতা চট্টোপাধ্যায়।

Updated By: May 9, 2018, 06:21 PM IST
অভিনেত্রী ললিতা চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান
ললিতা চট্টোপাধ্যায়।

চলে গেলেন বাংলার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ললিতা চট্টোপাধ্যায়। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বুধবার মৃত্যু হয় তাঁর।

উত্তমকুমারের বিপরীতে ১৯৬৪ সালে ‘বিভাস’ ছবির মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ। অভিনয় জগতে আসার আগে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। মহানায়কের প্রস্তাবে পরিবারের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য রাজি হন তিনি। ‘বিভাস’-এর পর ‘মোমের আলো’, ‘মেমসাব’, ‘হার মানা হার’, ‘জয়জয়ন্তী’র মতো একাধিক ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের নজর কাড়ে। উত্তমকুমারের বিখ্যাত ছবি ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’তেও পার্শ্বচরিত্রে স্বল্প সময়ের উপস্থিতিতেও তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছিল সে সময়ের বহু বিখ্যাত অভিনেতা, পরিচালকের। ষাটের দশকের একাধিক বাংলা ছবিতে কখনও নায়িকা বা কখনও খলনায়িকার চরিত্রে দেখা গিয়েছে ললিতা চট্টোপাধ্যায়কে। দু’ ধরনের চরিত্রেই তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছিল সে সময়ের বহু বিখ্যাত অভিনেতা, পরিচালকের। মুগ্ধ করেছিল অসংখ্য আম দর্শককে।

সত্তরের দশকে বলিউডের বেশ কিছু ছবিতেও অভিনয় করেন ললিতা। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর বাংলার যাত্রার মঞ্চেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি।

বছর পাঁচেক আগে পরিচালক গৌতম ঘোষের ছবি ‘শূণ্য অঙ্ক’-এর হাত ধরে ফের টলিউডে ফেরেন ললিতা চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যাবর্তনেও তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করে এ প্রজন্মের অনেক অভিনেতা, পরিচালক, প্রজযোককে। অভিনেত্রীর শেষ ছবি, আদিত্যবিক্রম সেনগুপ্তর ‘জোনাকি’র মাধ্যমে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার দর্শক দেখলেন একেবারে অচেনা এক ললিতা চট্টোপাধ্যায়কে। রটারডামে অনুষ্ঠিত ছবিটির ওয়র্ল্ড প্রিমিয়ারে সাড়া জাগিয়েছে তাঁর অভিনয়। তাঁর মৃত্যুতে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল বাংলার অভিনয় জগতে।

.