ফের হিংসা ছড়াল হাড়োয়ায়, এবার গুলিবিদ্ধ পাঁচ তৃণমূল কর্মী

ফের হিংসা ছড়াল হাড়োয়ায়। মঙ্গলবার গোপালনগরের লেবুতলায় পাঁচ তৃণমূল কর্মী সমর্থক গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Updated By: May 14, 2014, 08:28 AM IST

ফের হিংসা ছড়াল হাড়োয়ায়। মঙ্গলবার গোপালনগরের লেবুতলায় পাঁচ তৃণমূল কর্মী সমর্থক গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবারে হামলার অভিযোগ উঠেছে সিপিআইএমের বিরুদ্ধে। সিপিআইএম অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গতকাল লেবুতলা গ্রামে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আখের আলি। দুপুর তিনটে নাগাদ তাদের উপর চ়ডাও হয় একদল দুষ্কৃতী। তারা প্রথমে গুলি চালায়। পরে বোমা ছোড়ে। আখের আলি ও রসুল আলির গুলি লাগে। বাকি তিনজন বোমায় আহত হন। সিপিআইএম কর্মী রাজু পাড়ুইকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তাকে আটক করেছে হাড়োয়া থানা।

সোমবার পঞ্চম দফা ভোটের দিন হাড়োয়ার ব্রাহ্মণচকে গুলি চালিয়ে হামলার ঘটনায় ধৃতদের হেফাজতেই চায়নি পুলিস। তাই ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। এইঘটনায় ধৃত বারো জনকে আজ বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয়। এদের মধ্যে এফআইআর-এ নাম ছিল মাত্র দুজনের। বাকি ১০জনের নামই ছিল না এফআইআরে। ধৃতদের পুলিস হেফাজতের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।

কিন্তু সরকারপক্ষের আইনজীবী পুলিসি তদন্তের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সেই দাবি খারিজ করে দেন। এরপরেই ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। গতকাল ব্রাহ্মণচকে হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন দুই মহিলাসহ চারজন। হামলা হয় চপার ও ভোজালি নিয়েও। সেই হামলায় আহত হন ষোলোজন। বিকেলের দিকে ওই গ্রামে যান নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুধীর কুমার। গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করার পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর নির্দেশেই মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক উষারাণী মণ্ডলের ভাইপো শুভঙ্কর মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিস।

এদিকে, সিপিআইএম কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণদিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। নিহতের নাম সাবেকুল সরকার। আজ সকালে বাগধারা ব্রিজের তলায় তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হীরেন সাহা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক খুন বলেই দাবি করেছেন। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। সাবেকুলের বাবা হরসুরার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান হাসিমুদ্দিন সরকার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

.