রাজ্যের তৃতীয় দফায় ভোট অশান্তির wiki

রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে আসছে নানা অশান্তি, সন্ত্রাসের খবর সেগুলি এক নজরে

Updated By: Apr 30, 2014, 02:44 PM IST

রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে আসছে নানা অশান্তি, সন্ত্রাসের খবর সেগুলি এক নজরে--
তারকেশ্বরের কলাইকুণ্ড গ্রামে ভোট দিয়ে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন পূর্ব রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএমের প্রাক্তন প্রধান মিনতি সামন্ত। অভিযোগ তাঁকে মারধর করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন। একাধিক বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা নেই। অধিকাংশ বুথেই বাম এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনেক জায়গাতেই ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়েছে।
-----------------
শাসকদলের হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দিতে যাওয়ার খেসারত দিতে হল বিরোধী দলের সমর্থকদের। আজ সকালে বোলপুর কেন্দ্রের ময়ূরেশ্বরে একশো ছেচল্লিশ নম্বর বুথের সামনে ভোট দিতে যাওয়ার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় মা ও ছেলেকে। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করেন । ময়ূরেশ্বর প্রাথমিক হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ, ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার সুযোগকে কাজে লাগায় শাসকদল।
-=-----
শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সুধীর কুমার রাকেশের কাছে অভিযোগ জানান তিনি।
---------
কেতুগ্রামের আগরডাঙার ৪১ ও ৪২ নম্বর বুথে দখলকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি। অভিযুক্ত তৃণমূল।
---------------
হাওড়ার শালিমারে এক সিপিআইএম কর্মীকে বাড়ি থেকে বের করে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ওই সিপিআইএম কর্মী বিপ্লব দে-র স্ত্রী নির্বাচনী এজেন্ট। সে কারণেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে ভোট দিতে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন মহম্মদ মান্নান নামে এক সিপিআইএম সমর্থক। এই দুজনকেই গুরুতর আহত অবস্থায় দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
------------
উলুবেড়িয়ায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উলুবেড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন জোয়ারবাড়ি-জলাপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে বিজেপি কর্মীদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
------------
আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ভোট শেষ হয়ে গেল আমতার আজহার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একশো শতাংশ ভোট পড়ে গেল সকাল সাড়ে নটার মধ্যে। এই স্কুলে উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের একশো তিরাশি ও চুরাশি নম্বর বুথ রয়েছে। এই দুই বুথে মোট ভোটার ছশো আশিজন। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট থাকলেও এই দুই বুথে অন্য কোনও দলের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধির কাছে আড়াই ঘণ্টায় একশো শতাংশ ভোট পড়ে যাওয়ার বিষয়টি জানান বুথের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার। যদিও একশো শতাংশ ভোটপড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধির সামনে মুখ খোলায় সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারকে হুমকির মুখে পড়তে হয়।
কুশবেড়িয়ার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান হাসমত খান ওই প্রিসাইডিং অফিসারকে হুমকি ও ধমক দেন বলে অভিযোগ।
---------------
কোথাও সন্ত্রাস। কোথাও আবার একজনের ভোট দিয়ে দিচ্ছেন অন্য কেউ। এমনই অভিযোগ উঠেছে আরামবাগের ভোটে। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট কেমন হচ্ছে, তা জানাচ্ছেন সেখানকার তৃণমূল সমর্থকরাই।
----------------
খবর করতে গিয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হামলার মুখে পড়ল চব্বিশ ঘণ্টা। প্রথমে হুমকি, তারপর ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা। ঘটনাস্থল সিউড়ির পতন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়।

কিন্তু, কেন এই হামলা? সিউড়ির পতন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়েভোট হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই। এই খবর পেয়ে ওই বুথে পৌছন আমাদের প্রতিনিধি। দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সত্যিই নেই। আর যে দুজন পুলিসকর্মী রয়েছেন, তাদের হাতেও অস্ত্র নেই। অস্ত্র রাখা রয়েছে স্কুলের একটি ঘরে। এখানেই শেষ নয়। বিরোধী দলের কোনও এজেন্টকেও দেখা যায়নি। বুথের ভিতর বসে রয়েছেন শুধুমাত্র তৃণমূলের এক এজেন্ট। আর বুথের একশো মিটারের মধ্যে জড়ো হয়ে রয়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। এই খবর সংগ্রহ করতে গিয়েই তৃণমূলের নেতা কর্মীদের হুমকির মুখে পড়লেন চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধি। কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয় ক্যামেরা। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

.