শীতকালে এমন ১০টা ভুল, যা আমরা সকলেই করে থাকি

শীতকালে ঠান্ডাতে কিছুটা হলেও জমে যাই আমরাও। ঠান্ডার সঙ্গে আমাদের সঙ্গী হয়ে চলে আসে সর্দি, কাশি, জ্বর, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি। ঠান্ডাতে যেন আমাদের হাত-পা চলতেই চায় না। ঠান্ডাতে কাবু হয়ে এমন কিছু কাজ করি যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক...

Updated By: Dec 28, 2015, 02:13 PM IST
শীতকালে এমন ১০টা ভুল, যা আমরা সকলেই করে থাকি

ওয়েব ডেস্ক: শীতকালে ঠান্ডাতে কিছুটা হলেও জমে যাই আমরাও। ঠান্ডার সঙ্গে আমাদের সঙ্গী হয়ে চলে আসে সর্দি, কাশি, জ্বর, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি। ঠান্ডাতে যেন আমাদের হাত-পা চলতেই চায় না। ঠান্ডাতে কাবু হয়ে এমন কিছু কাজ করি যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক...

১. কম জল খাওয়া
শীতকালে আমাদের জল তেষ্টা খুব কম পায়। তাই গরমকালের তুলনায় শীতকালে জল খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যায়। কিন্তু শরীর ঠিক রাখতে গেলে আমাদের প্রতিদিন অন্তত্য পক্ষে ২ লিটার জল খাওয়া আবশ্যক। না খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিডনির সমস্যা, হজমের সমস্যা প্রভৃতিও দেখা দেয়। তাই জল তেষ্টা না পেলেও কিছু সময়ের ব্যবধানে বেশি করে জল খান। এতে দেখবেন শীতকালে শরীরের কোনও সমস্যাই দেখতে পাওয়া যাবে না।
 
২. বেশি গরম জামা পরা
শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আমরা অনেক গরম জামা পরি। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি গরম জামা পরার ফলে আমাদের শরীরের ভেতরে ঘাম হয়ে যায়। যার জন্য ঠান্ডার লাগার সমস্যাও দেখা দেয়। তাই বেশি গরম জামা না পরে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে যেটুকু দরকার সেইটুকু পরাই উচিত।

৩. হাতের চেটো এবং পায়ের পাতা ঢেকে রাখা
ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে হাতের চেটো এবং পায়ের পাতা ঢেকে রাখা কখনওই উচিত নয়। হাত এবং পায়ের চেটোর মধ্যে দিয়েই আমাদের শরীর নতুন আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়। কিন্তু হাত এবং পা না খুলে রেখে ঢাকা দিয়ে রাখলে নতুন আবহাওয়া কখনওই শরীরের সঙ্গে মিশে যেতে পারে না। এছাড়া রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় অনেকেই পায়ে মোজা পরে থাকেন। রাতে ঘুমানোর সময় মোজা পরলে শরীরে রক্তচলাচল ঠিক মতো হয়না। তাই বাইরে বেরনোর সময় ঢেকে রাখলেও ঘরে থাকার সময় ঢেকে না রাখাই ভালো।

৪. খাওয়া দাওয়া
শীতকালে খাবার খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। তাই খুব বেশি মশলাদার খাবার আমরা অনেক সময় খেয়ে ফেলি। যার জন্য ওজন বেড়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া শীতকালে আমরা খুব একটা যোগা করি না। তার জন্যও অনেক সময় বেড়ে যায় আমাদের ওজন। তাই হজম হয়ে গেলেও স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে খাওয়া দাওয়া করাটাই ভালো। একটা ডায়েট বানিয়ে নিয়ে তবেই খান।

৫. অনেক বেশি ঘুমানো
শীতকালে ঘুম খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে। এছাড়া বেশিক্ষণ ধরে ঘুমানোর একটা প্রবণতাও দেখতে পাওয়া যায়। সকালে যেন বিছানা ছাড়তে ভালোই লাগে না। যত ঘুমানোই হোক না কেন দুপুরের দিকে একটু ঝিমুনি চলে আসে সকলেরই। তাই অনেক সময় শীতকালেই ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠার সময়ের কোনও ঠিকই থাকে না। এতেও ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই যত খারাপই লাগুক না কেন একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন।
   
৬. ঘরে থাকা
ঠান্ডার জন্য ঘর থেকে বেরতে আমরা খুব একটা পছন্দ করি না। বাইরে যদি খুব বেশি ঠান্ডা পড়ে তাহলে না বেরনোই ভালো। কিন্তু এমনি সময় বেশিক্ষণ ঘরের মধ্যে থাকা উচিত নয়। বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে শরীরকে খাপ খাওয়ানো খুব দরকার। তাই উপযুক্ত জামা পড়ে বাইরে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন।

৭. অতিরিক্ত ক্রিম মাখা
শীতকালে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। তার জন্য ক্রিম মাখা দরকার। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি ক্রিক মাখা কখনওই উচিত নয়। কারণ বেশি ক্রিম মাখার ফলে আমাদের রোমকূপগুলি বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে মুখে ব্রণ এবং ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়।

৮. সানস্ক্রিন না মাখা
শীতকালে আমরা অনেকেই মনে করে থাকি সানস্ক্রিন মাখার কোনও দরকার পরে না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। শীতকালে আরও বেশি করে সানস্ক্রিন মাখা খুব দরকার। কারণ শীতকালে খুব বেশি পরিমাণে কালো হয়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সূর্য আমাদের অনেকটা কাছে চলে আসে।
 
৯. জামা কাপড় ঘরে শুকোতে দেওয়া

শীতকালে টান আবহাওয়া থাকার জন্য অনেকেই ঘরের মধ্যে জামা-কাপড় শুকোতে দেন। কিন্তু জামা কাচার পর তা রোদে না দেওয়া হলে তার থেকে বাচ্চাদের ইনিফেকশন হতে পারে। কারণ রোদই একমাত্র ইনফেকশান দূর করতে সাহায্য করে।

১০. অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া
অল্প ঠান্ডা লাগার পরেই ওষুধ খেয়ে নেন অনেকেই। কিন্তু সব সময় ওষুধ না খাওয়াই ভালো। বেশিরভাগ সময় ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া টোটকা মেনে ঠান্ডাকে কাবু করে ফেলতে পারেন। বেশি ওষুধ খেলে আপনার ইমিউনিটি ক্ষমতা খারাপ হয়ে যেতে পারে।

.