'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস'-এর প্রভাব বাড়তেই 'বাড়ন্ত' ওষুধ
ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে মিউকরমাইকোসিস রোগ। সারা দেশে ৯ হাজারেরও বেশি এই রোগীর সংখ্যা রেকর্ড হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাস অতিমারির মধ্যেই ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে মিউকরমাইকোসিস রোগ। সারা দেশে ৯ হাজারেরও বেশি এই রোগীর সংখ্যা রেকর্ড হয়েছে। এই অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ লাইপোসোমাল অ্যামফোটেরিসিন বি এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে দেশে।
মিউকরমাইকোসিস কোনও সাধারণ ছত্রাকঘটিত রোগের থেকে বেশ কিছুটা বিরল এবং প্রাণঘাতকও। এই পরিস্থিতিতে দেশে নিরাময় ওষুধের ঘাটতি আশঙ্কা তৈরি করছে। কেন এই অভাব তার কারণ ব্যাখ্যা করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ হওয়া কোভিড-১৯ রোগীদের শরীর যেহেতু দুর্বল হয়ে থাকে সেই জন্য তাঁদের অনেক আগে থেকে মিউকমাইকোসিসের চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া দরকার। কিন্তু ওষুধের ঘাটতি সেই চিকিৎসায় অন্তরায় হচ্ছে। এই চিকিৎসা ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ধরে চলে। যার প্রধান ওষুধ অ্যামফোটেরিসিন। সেক্ষেত্রে প্রায় ৯০ থেকে ১২০টি ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন হয়। চিকিৎসার খরচ প্রায় ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন, আবারও বাড়ছে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, তবে সুস্থতার হার বেশি
সেক্ষেত্রে প্রতিটি রোগীর গড়ে প্রয়োজন ১০০টি ভায়াল। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে যে সংখ্যক রোগী আক্রান্ত সেই হিসেবে প্রায় ৯ থেকে ১০ লক্ষ অ্যামফোটেরিসিনের ইনজেকশন প্রয়োজন ভারতে। সেরামস এবং ভ্যাকসিনস, বিডিআর ফার্মাসিউটিক্যালস, সান ফার্মা, সিপলা এবং লাইফ কেয়ার ইনোভেশনস সংস্থারা এই ওষুধ তৈরি করে থাকে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লিপসোমাল অ্যামফোটেরিসিন, লিপিড কমপ্লেক্স ভার্সান ও অ্যামফোটেরিসিন বি ডিঅক্সিকোলেট- এই তিন ধরনের ওষুধ রয়েছে। এর মধ্যে লিপসোমাল অ্যামফোটেরিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম কোমর্বিডিটি রোগীদের ক্ষেত্রে। তাই চিকিৎসার জন্য এটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেভাবে দেশে ওষুধ ঘাটতি বেড়েছে সেখানে ওষুধের আকালে প্রাণহানি হওয়ার সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।