AstraZeneca | Side Effect Of Covishield: কোভিশিল্ডে ঝুঁকির হার আসলে কত? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে নয়া দাবি অ্যাস্ট্রাজেনেকার!
অযথা আতঙ্কিত হওয়ার বা আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। লাখো মানুষ ভ্যাকসিন নিয়ে দিব্যি বেঁচে আছেন। রীতিমতো দৌড়-ঝাঁপ করে কাজকর্ম করছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার নয়া বিবৃতি দিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। লন্ডনভিত্তিক বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে! যা স্বীকার করে নিলেও কোম্পানির তরফে দাবি করা হয়েছে, রোগীদের সুরক্ষা-ই তাদের অগ্রাধিকার। কোভিশিল্ডের জন্য কারও কোনওরকম কোনও শারীরিক সমস্যা হয়েছে, তার জন্য দুঃখিত। যাঁরা তাঁদের পরিবারকে হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য সমবেদনা। তবে কোভিশিল্ডের ব্যবহার যে নিরাপদ, তাও নিশ্চিত করছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে এটাও বলা হয়েছে, সমস্তরকম গাইডলাইন বিধিও কঠোরভাবে মানা হয়ে থাকে ভ্যাকসিন প্রস্তুতের সময়।
উল্লেখ্য, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রাক্তন আইসিএমআর প্রধান জানিয়েছেন, ১০ লাখের মধ্যে মাত্র ৭ জনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। একমাত্র সেক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকতে পারে। যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম, সংক্ষেপে TTS। এমনকি তিনি এও জানান যে, ভ্যাকসিন চালু হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডে বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় TTS চিহ্নিত হয়। তবে সেটা 'ভীষণই বিরল'। এই নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার বা আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, লাখো মানুষ এই ভ্যাকসিন নিয়ে দিব্যি বেঁচে আছেন। সেইসঙ্গে রীতিমতো দৌড়-ঝাঁপ করে কাজকর্ম করে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার ট্রায়াল নিয়েছিলেন এক মহিলা। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই ওই মহিলার অজানা রোগ দেখা দেয় বলে অভিযোগ। যদিও কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সেটা প্রথমে জানায়নি ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এরপর ২০২৩ সালে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মামলা করেন জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তি। তিনি অভিযোগ করেন যে ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে তাঁর মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়েছে। তাঁর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতাও কমে গিয়েছে বলে জানান জেমি স্কট। প্রথমে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার না করলেও, পরে তা স্বীকার করে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)