Saheb Chatterjee: গুরুতর অসুস্থ সাহেব চট্টোপাধ্যায়! ভর্তি হাসপাতালে, কী হয়েছে গায়ক-অভিনেতার?
Saheb Chatterjee: ২৩ তারিখ থেকেই শরীরটা হঠাৎ খারাপ হতে শুরু করে। রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ল। সেই সঙ্গে গলায় মারাত্মক ব্যথা। অবস্থা ক্রমশই খারাপ হতে থাকে অভিনেতার। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অসুস্থ সাহেব চট্টোপাধ্যায় (Saheb Chatterjee)। ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। হাতে স্যালাইনের নল - চোখে চশমা পরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন তিনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই এই ছবি পোস্ট করেছেন গায়ক-অভিনেতা। শারীরিক কিছু সমস্যার জন্যই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাহেব চট্টোপাধ্যায়কে। অসুস্থতার কারণেই ২৬ ও ২৮ ডিসেম্বরের দুটি শো-ও বাতিল করতে হয়েছে। শোয়ের আয়োজক ও ভক্তদের কাছে সেই জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি।
হাসপাতাল থেকেই একটি ছবি পোস্ট করে সাহেব লেখেন, 'হ্যালো বন্ধুরা! শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য ২৫ ডিসেম্বর আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। অসুস্থতার কারণে ২৬ ও ২৮ ডিসেম্বর পরপর দুটি লাইভ শো বাতিল করতে বাধ্য হলাম। এই ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করছি আমার পরিস্থিতিটা সকলে বুঝতে পারছেন। আমি এতটাই অসুস্থ যে যাঁরা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁদের উত্তরও দিতে পারিনি। এই ঘটনার জন্যও আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সেই সঙ্গে তাঁদেরকে অনেক ধন্যবাদ যাঁরা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। নিজেকে খুব সুখী ও ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।'
কী হয়েছে তাঁর? এই প্রশ্নের উত্তরে সাহেব বলেন, '২২ তারিখ শ্যুটিং শেষ করলাম। সবই ঠিকঠাক ছিল। ২৩ তারিখ থেকেই শরীরটা হঠাৎ খারাপ হতে শুরু করে। রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ল। সেই সঙ্গে গলায় মারাত্মক ব্যথা। জলটুকুও খেতে পারছিলাম না। জল, ফলের রস যাই খাচ্ছিলাম বমি হয়ে যাচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই বাড়িতে আমি ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া টেস্ট করিয়েছি। সব রিপোর্ট নেগেটিভই এসেছে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছিল। বিষয়টা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। হাসপাতালে যাতে ভর্তি না হতে হয় সেই জন্য কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিকও খেয়েছি। আমি তো শুধু ভাবছি শ্যুটিংটা ভাগ্যিস শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমার উপর ভগবানের আশীর্বাদ রয়েছে। '
কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরও যখন তাঁর জ্বর কমেনি, এরপরেই চিকিত্সকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। অভিনেতা জানান, 'তারপর যখন কমল না তখন হাউজ ফিজিশিয়ন বললেন ব্লাডের ইনফেকশনটা বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে। তবে এখন অনেকটাই ভাল আছি। খাওয়াদাওয়াটা করতে পারছি। আগের মতো বমিটা আর হচ্ছি না। তবে বেশি কথা বললে কষ্টটা এখনও হচ্ছে। গলাটা নিয়ে একটু চিন্তায় আছি। ' ওষুধে সাহেবের শরীর সাড়া দিচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৩-৪দিনে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)