জন্মের পর হাজারো বাচ্চার পেট থেকে বেরিয়ে আসছে অন্ত্র! কেন, জানা নেই চিকিত্‍সকদেরও!

নিজের সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর চমকে উঠেছিলেন ব্রুক বলে এক ভদ্রমহিলা। তাঁর সদ্যজাত কন্যার পেটের মধ্যে রয়েছে বড় সড় একটা ফুটো! আর শরীরের বেশ কিছু অন্ত্র রীতিমতো বেরিয়ে পড়েছে ওই ফুটো দিয়ে! নিজের বাচ্চাকে দেখেই যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না ব্রুকের! তিনি এরকম এলিয়েনদের মতে দেখতে সন্তানের জন্ম দিলেন! এ বাচ্চা বাঁচবে তো? মনে বড়সড় প্রশ্ন ছিল তাঁর। ডাক্তাররা অবশ্য অস্ত্রপোচারের পর বাঁচিয়ে তোলেন ব্রুকের কন্যা সন্তানকে।

Updated By: Jan 23, 2016, 04:11 PM IST
 জন্মের পর হাজারো বাচ্চার পেট থেকে বেরিয়ে আসছে অন্ত্র! কেন, জানা নেই চিকিত্‍সকদেরও!

ওয়েব ডেস্ক: নিজের সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর চমকে উঠেছিলেন ব্রুক বলে এক ভদ্রমহিলা। তাঁর সদ্যজাত কন্যার পেটের মধ্যে রয়েছে বড় সড় একটা ফুটো! আর শরীরের বেশ কিছু অন্ত্র রীতিমতো বেরিয়ে পড়েছে ওই ফুটো দিয়ে! নিজের বাচ্চাকে দেখেই যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না ব্রুকের! তিনি এরকম এলিয়েনদের মতে দেখতে সন্তানের জন্ম দিলেন! এ বাচ্চা বাঁচবে তো? মনে বড়সড় প্রশ্ন ছিল তাঁর। ডাক্তাররা অবশ্য অস্ত্রপোচারের পর বাঁচিয়ে তোলেন ব্রুকের কন্যা সন্তানকে।

এরকম ঘটনা মোটেই আজকের দিনে আর ব্যতিক্রমই নয়। শুক্রবার দিন পাবলিক হেলথ এজেন্সিতে একটি রিপোর্ট পেশ হয়েছে। সেখানে তারা বলছে ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এরকম রোগের পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে আমেরিকা এবং আফ্রিকায়। এই দুই মহাদেশে যে সমস্ত সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই রয়েছে এই রোগ অর্থাত্‍ গ্যাসট্রোসিসিস। ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই রোগের উপর আলাদা করে নজর দেওয়া হয়েছিল। গবেষকরা দেখেছেন, মূলত এইরকম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন সেইসব মায়েরা যাঁদের বয়স ২০ বছরের কম। ২০ বছরের নিচে যে সব মেয়েদের বাচ্চা হচ্ছে, তাদের মধ্যে এরকম সন্তানের জন্ম দেওয়ার সংখ্যা প্রায় ২৬৩ শতাংশ!

কিন্তু এসবই তো তথ্য পরিসংখান। এইরকম সন্তান জন্মাচ্ছে কীভাবে? যাদের বেশ কিছু অন্ত্র বাইরে বেরিয়ে আসছে! না, এখনও বিজ্ঞানী, ডাক্তার বা গবেষকদের কাছে কোনও সদুত্তর নেই। ন্যাশনাল সেন্টার অফ বার্থ ডিফেক্টস অ্যান্ড ডেভোলপমেন্টাল ডিসাবিলিটিসের ডিরেক্টর কলিন বয়েল বলেছেন, 'সত্যিই আমাদের কাছে বিষয়টা উদ্বেগজনক যে, এরকম সন্তানের জন্ম হচ্ছে। আর কেন তা হচ্ছে, আমরা তার কোনও কারণ এখনও খুঁজে পাইনি বলে। খুব শিগগিরি আমাদের এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে।' আগামীতে নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে, এই আশাতেই রয়েছে চিকিত্‍সকমহল।

.