অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি শক্তিশালী করোনা-রোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করছে অ্যাস্ট্রা জেনিকা

শুধু করোনা প্রতিষেধকের আগাম উৎপাদন শুরু করেই থেমে নেই ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র বিজ্ঞানীরা। করোনার রুখতে সক্ষম অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করতে চলেছেন তাঁরা।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Jun 8, 2020, 11:38 AM IST
অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি শক্তিশালী করোনা-রোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করছে অ্যাস্ট্রা জেনিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে। প্রথম দু’টি ‘হিউম্যান ট্রায়াল’-এ অভূতপূর্ব সাফল্যের পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধক ChAdOx1 nCoV-19-এর চূড়ান্ত পর্বের সাফল্যের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’।

তবে শুধু করোনা প্রতিষেধকের আগাম উৎপাদন শুরু করেই থেমে নেই ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র বিজ্ঞানীরা। করোনার রুখতে সক্ষম অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করতে চলেছেন তাঁরা। করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের প্রায় দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র বিজ্ঞানীরা। রবিবার এ কথা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সংস্থার কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট।

সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানান, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে এই অ্যান্টিবডি দেওয়া গেলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভাল ফল মিলবে। দুটি অ্যান্টিবডির সমন্বয় ইনজেকশনের মাধ্যমে আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করানোর কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এর ফলে একটি অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে ভাইরাসের পাল্টা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা অন্য অ্যান্টিবডির মাধ্যমে প্রতিহত করা যাবে।

ক্রমশ ভয়াবহ হতে থাকা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি টিকা উৎপাদনের কাজ প্রাথমমিক ভাবে শুরু করে দিয়েছে সংস্থা। পরে জুলাই মাসে চূড়ান্ত পর্বের ফলফল জানার পর টিকার উৎপাদন বাড়ানো হবে। সংস্থা জানিয়েছে, সব ঠিকঠাক চললে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই এই প্রতিষেধকের অন্তত ২০০ কোটি ডোজ বিশ্ব বাজারে আনার লক্ষমাত্রা সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারত এখনও করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতার সম্মুখীন হয়নি; পরিস্থিতি বেশ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’! মত WHO-এর

এ দিকে করোনা-রোধী এই অ্যান্টিবডির বিষয়ে ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ জানিয়েছে, আগামী বছরের গোড়াতেই হয়তো এটি পাওয়া যাবে। তবে প্রতিষেধক বা ওষুধের তুলনায় অ্যান্টিবডির মাধ্যমে করোনার চিকিৎসা অনেকটাই ব্যয়বহুল হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।

.