চিনে জোর হামলা নয়া জোড়া ভ্যারিয়ান্টের, ফের করোনার আতঙ্কে বিশ্ব!
চিনের বিভিন্ন মিডিয়ায় জানা গিয়েছে যে কোভিডের প্রভাবশালী সাবভ্যারিয়ান্টের একটি রূপ হওয়ায় ইমিউনিটিকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা অনেক বেশি। চিন ছাড়াও বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক এবং ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের করোনা আতঙ্ক বিশ্বজুড়ে। আবার উৎস চিন। চিন প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দেশের কমিউনিস্ট পারটীর জাতীয় কংগ্রেসের জন্য। অন্যদিকে চুপিসারে সেই দেশে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। গত দুই মাসে অভাবনিয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা। অক্টোবর মাসের নয় তারিখে চিনে ১৯৩৯ জন সংক্রমিত হয়। অগস্ট মাস থেকে এটাই সেই দেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনা। সাংহাইতে ৩৪ জন সংক্রামিত হয়। গত তিন মাসে এটাই সেখানে সবথেকে বেশি সংক্রমণ বলে জানা গিয়েছে।
নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই ভয় পাচ্ছেন যে সেই দেশে আবার নতুন করে কড়া রেস্ট্রিকশন চালু হতে পারে। বিভিন্ন আবাসনে ইতিমধ্যেই লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে সাংহাইয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে লকডাউন করা হয়েছে এবং সরকারের তরফে খাবারের মতন জরুরি রেশন সরবরাহ করা হয়েছে।
বেজিং-এ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস। অন্যদিকে বেজিং-এই ১৪টি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা রিপর্ট করা হয়েছে। রাজধানীতে কড়া হাতে কোয়ারান্টাইন করা হচ্ছে এবং ভ্রমণকারীদের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে যে কোভিডের বাড়তে থাকা চাপ সামলানোর জন্য ক্রমাগত চাপ বাড়ছে বেজিং-এর উপর।
সাম্প্রতিক কোভিড সংক্রমণ চিন্তার কারণ বাড়িয়েছে কারণ ওমিক্রনের নতুন সাব ভেরিয়ান্ট বিএফ.৭ এবং বিএ.৫.১.৭ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে প্রথমবার। বিশ্বে সব দেশই কোভিডের সঙ্গে আপোষ করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছে কিন্তু চিন ক্রমাগত জিরো কোভিড পলিসির উপর জোর বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: stomach Cancer: এখনও সিঙ্গল? ক্য়ানসারে মৃত্যুর সম্ভাবনা কিন্তু আপনার বেশি!
চিনের বিভিন্ন মিডিয়ায় জানা গিয়েছে যে কোভিডের প্রভাবশালী সাবভ্যারিয়ান্টের একটি রূপ হওয়ায় ইমিউনিটিকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা অনেক বেশি। চিন ছাড়াও বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক এবং ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ।
আমেরিকার মোট কোভিড সংক্রমণের ৪.৬ শতাংশই বিএফ.৭ সাব ভ্যারিয়ান্ট। এই সংক্রমণের ফলে নতুন লক্ষণ, শারীরিক সমস্যা এবং আগের তুলনায় বড় চ্যালেঞ্জ আসতে চলেছে দেশগুলির সামনে। অনেকেই মনে করছন যে এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট আগের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে।
এশিয়ার এই দেশ বহুবার লকডাউন এবং রেস্ট্রিকশন চালু করতে বাধ্য হয়েছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং ভিডিওয় দেখা গিয়েছে এই লকডাউনের ফলে কতটা সমস্যায় পড়েছে সেই দেশের মানুষ।
অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে হাজার হাজার বিএফ.৭ সংক্রমণের ঘটনা দেখা গিয়েছে ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে।