সুস্থ থাকতে করোনা-জয়ীদের যোগাসন, চবনপ্রাশ-সহ একগুচ্ছ পরামর্শ কেন্দ্রের
একবার সেরে উঠলেও নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই! তাই করোনা-জয়ীদের নির্দিষ্ট কিছু প্রোটোকল মেনে চলার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতেও ছবিটা ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা থেকে একবার সেরে উঠলেও নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই! তাই ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সেরে ওঠার পরও করোনা-জয়ীদের নির্দিষ্ট কিছু প্রোটোকল মেনে চলার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই নির্দেশিকায় মূলত দেশি এবং আয়ুর্বেদিক টোটকার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। ভাইরাসের প্রকোপ কাটিয়ে সেরে ওঠা মানুষদের নিয়মিত যোগাসন, হাঁটাচলা-সহ হালকা শরীরচর্চার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনা থেকে সেরে ওঠার পর শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দরকার। আর সে জন্য বেশি করে খেতে হবে চবনপ্রাশ, দুধ-হলুদ, অশ্বগন্ধা ও আমলকি। এ কথা বলা হয়েছে আয়ুশ মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায়। মন্ত্রক সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরও অনেকেরই দুর্বলতা, গায়ে ব্যথা, সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুগছেন। আয়ুশ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সব সমস্যার মোকাবিলা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে চবনপ্রাশ, দুধ-হলুদ।
আরও পড়ুন: এই গাছেই লুকিয়ে করোনার মোক্ষম ওষুধ! দাবি বিজ্ঞানীদের
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সুস্থ হওয়ার পরেও করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য-বিধি মানতে হবে। অর্থাৎ, মাস্ক বা স্যানিটাইজারের ব্যবহার করা জরুরি। সারাদিনে যথেষ্ট পরিমাণ উষ্ণ জল পান করতে হবে। নিয়মিত বিশ্রাম বা ঘুমের পাশাপাশি ধুমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার, শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে। প্রতিদিন সকাল-সন্ধেতে হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। গরম দুধ, আদা, অশ্বগন্ধা, আয়ুশ কাথ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। এ ছাড়াও আয়ুশ মন্ত্রকের প্রস্তাবিত চবনপ্রাশ, দুধের সঙ্গে হলুদ গুড়ো মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস বেশ উপকারী!