নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭-এ। সেখানে এখনও পর্যন্ত এর কোনও ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়েনি। তাই সারা বিশ্ব এখনও দুটি অস্ত্রের উপর ভরসা করে আছে। ফেস মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ভারতে একদিকে যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তার সংখ্যা, তেমনই পাল্লা দিয়ে কমছে বাজারে উপলব্ধ মাস্কের সংখ্যা। ফলে দামও বাড়ছে মাস্কের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য আগামী ১০০ দিন পর্যন্ত ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এর পাশাপাশি কেন্দ্র করোনাভাইরাসকে বিপর্যয় ঘোষণা করে দেশে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন কার্যকর করেছে।


কোনও দোকানদার যাতে বেশি দামে মাস্ক না বিক্রি করে সেই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে সরকার। কিন্তু দোকানদারেরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কম দামে কোনও ভাবেই তারা মাস্ক বিক্রি করতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে মাত্র ২ টাকায় মাস্ক বিক্রি করে নজির গড়লেন এই ব্যবসায়ী। ২ টাকায় মাস্ক বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরলের কোচির একটি ওষুধের দোকান।


আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে অণ্ডকোষ, বাড়তে পারে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি!


এই ওষুধ দোকানের দুই কর্ণধার নাদিম ও থালসিম জানিয়েছেন, তারা মূলত হাসপাতাল কর্মী ও পড়ুয়াদের মধ্যে মাস্ক বেশি বিক্রি করেছে। মাস্ক নির্মাতাদের কাছ থেকে তারা সব সময় ৮-১০ টাকা দামেই মাস্ক কিনেছেন। কিন্তু গত আট বছর ধরে তারা ২ টাকাতেই বিক্রি করছে এই ফেস মাস্ক। কিন্তু করোনা মহামারীর আকার ধারণ করাতেই দাম বেড়েছে মাস্কের। মাত্র দু দিনে এই দোকান থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি মাস্ক বিক্রি হয়েছে।


এই বিপর্যয়ের দিনে ব্যবসায় লাভের কথা না ভেবে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছেন তারা। এত কম দামে মাস্ক বিক্রির ফলে দোকানের স্টক শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের।