সিদ্ধান্ত সিব্বল


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিনের এই আকালের মধ্য়েও বড় খবর। বছরে ১০০ কোটি কোভ্যাকসিন ডোজ তৈরি করবে বলে জানিয়েছে ভারত বায়েটেক। ওই বিপুল সংখ্যক ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে আশাবাদী কোম্পানি। জানালেন কোম্পানির যুগ্ম ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এলা।


আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল WION-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সুচিত্রা বলেন, সরকারি সহযোগিতায় আমাদের সাপ্লাই চেনকে আরও শক্তিশালী করতে পারলেই ওই সংখ্যাক ভ্যাকসিন উত্পাদন সম্ভব। কারণ বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্যে ভ্যাক্সিন টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় উপদান আনতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে।


কোভ্যাকসিন কি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার প্রজাতির সঙ্গে লড়তে সক্ষম? 


ভারত ও আফ্রিকায় খোঁজ পাওয়া করোনার ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাসকেও কাবু করে পারে কোভ্যাকসিন। পাশাপাশি এটি ব্রাজিল ও ব্রিটেনের প্রজাতির সঙ্গেও লড়তে পারে।


আরও পড়ুন-ফিরহাদদের জামিন মামলায় গঠিত হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ  


২-১৮ বছরের রোগীদের উপরে কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল কতদূর?


জুনেই ২-১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ৩ মসের মধ্যেই ট্রায়াল শেষ হয়ে যাবে।


সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে ডিসেম্বরের মধ্য ২০০ কোটি ভ্যাকসিন উত্পাদন হবে। এক্ষেত্রে কোভ্যাকসিনের(Covaxin) উত্পাদন কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে ?


দেশের তিনটি জায়গায় আমাদের ৩টি ভ্যাকসিন উত্পাদন কেন্দ্র রয়েছে। হায়দাবাদের কেন্দ্র থেকে আমরা বছরে ২০০-২৫০ মিলিয়ন ডোজ, বেঙ্গালুরু থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডোজ ও আঙ্কেশ্বর থেকে আমার বছরে ২০০ মিলিয়ন ডোজ উত্পাদন করতে পারি। তাই আমরা ওই একশো কোটি ডোজ উত্পাদনের কাছাকাছি রয়েছি। ফলে উত্পাদন বাড়িয়ে ওই একশো কোটিতে পৌঁছনো খুবই সহজ।


সাপ্লাই চেন নিয়ে সমস্যা রয়েছে?


ভ্যাকসিন(Covid Vaccine) পরীক্ষার জন্য বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক প্রয়োজন।  এর বেশিরভাগটাই আসে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কিছু যন্ত্রাংশও প্রয়োজন। ওইসব যন্ত্রাংশ আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকেই। ফলে ওইসব জিনিসের সরবারহের ব্যবস্থা সহজ করা যায় তাহলে উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা খুব সহজেই ছোঁয়া যাবে।


আরও পড়ুন-করোনায় বাংলা কেমন আছে? অসুস্থ শরীরে জানতে চাইলেন কোভিড আক্রান্ত Buddhadeb 
 
ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন বিদেশ বিক্রি করা হয়েছে। এতে বিদেশ থেকে ভ্য়াকসিন তৈরির উপাদান পেতে কতটা সাহায্য করবে?


এই অতিমারীর সময়ে দেশের কথা সবসময় মাথায় থাকে। তবুও বিদেশি রাষ্ট্রগুলির অর্ডার সাপ্লাই আমাদের করতে হয়। দুনিয়া ১২৫ দেশে আমরা ভ্যাকসিন সরবারহ করেছি। ওইসব দেশের মধ্য বহু দেশই গরিব। এই সময়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ে।


অন্য কোম্পানিকে পেটেন্ট দেওয়া দাবি উঠছে। আপনি কী বলেন?


এই ভ্যাকসিন উত্পাদন খুবই জটিল বিষয়। শুধুমাত্র পেটেন্ট বা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিলেই উত্পাদন হয়ে য়াবে না। উত্পাদনের জন্য উন্নত পরিকাঠামোও প্রয়োজন। মেনে চলতে হয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেসব থাকতে হবে।