ক্রাশ ডায়েট বাড়িয়ে দেয় যক্ষ্মার সম্ভবনা, জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা
মনের মতো চেহারা পাওয়ার স্বপ্নে অনেকেই এখন ক্রাশ ডায়েটের দিকে। সারাদিনে খাবারের পরিমান যতটা সম্ভব কমিয়ে এনে মেদ ঝরানোর এই প্রবণতার ফলে শরীরে খামতি হচ্ছে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারের। ফলে সম্ভাবনা বাড়ছে যক্ষ্মার মতো মারণরোগ শরীরে বাসা বাঁধার।
ওয়েব ডেস্ক: মনের মতো চেহারা পাওয়ার স্বপ্নে অনেকেই এখন ক্রাশ ডায়েটের দিকে। সারাদিনে খাবারের পরিমান যতটা সম্ভব কমিয়ে এনে মেদ ঝরানোর এই প্রবণতার ফলে শরীরে খামতি হচ্ছে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারের। ফলে সম্ভাবনা বাড়ছে যক্ষ্মার মতো মারণরোগ শরীরে বাসা বাঁধার।
মঙ্গলবার বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে কেপিএম হাসপাতাল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ডা. কল্পনা সিং বলেন, সাইজ জিরো হতে ক্রাশ ডায়েটের দিকে ঝোঁকেন মহিলারা। কিন্তু তারা বোঝেন না এই ধরণের জীবনযাপনে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে যক্ষ্মার মতো রোগ। মায়ের শরীরে যক্ষ্মার সংক্রমণ হলে তা সংক্রমিত হতে পারে সন্তানের মধ্যেও। সেই কারণেই সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া করা বিশেষ প্রয়োজন। যক্ষ্মা শুধমাত্র বয়স্কদের হতে পারে এই ধারণাও এ দিন ভেঙে দেন চিকিত্সকরা। সমাজের যেকোনও স্তরের মানুষেরই যদি ৩ সপ্তাহের থেকে বেশি সময় একটানা জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই যক্ষ্মার পরীক্ষা করানো উচিত্।
যক্ষ্মা সাধারণত ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটালেও শরীরের অন্যান্য অংশেও এর সংক্রমণ ঘটতে পারে। যক্ষ্মা রোগীর কাশি, হাঁচি বা কফ থেকে বাতাসে ছড়াতে পারে যক্ষ্মার জীবানু। অনেক ক্ষেত্রে যক্ষ্মার উপসর্গও বোঝা যায় না। যার ফলে চিকিত্সার অভাবে মৃত্যু হয় ৫০ শতাংশ রোগীর। তবে প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে ও নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী উপযুক্ত চিকিত্সার ফলে যক্ষ্মার সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব বলেও জানান মুরারি লাল চেস্ট হাসপাতালের প্রধান ডা. আনন্দ কুমার।