মাত্র পঞ্চাশ টাকায় স্বর ফিরে পাবেন গলায় ক্যানসার আক্রান্ত রোগীরা
গলার ক্যানসার কেড়ে নিয়েছে কথা বলার ক্ষমতা। দামী বিদেশি কৃত্রিম ভয়েসবক্স কেনারও ক্ষমতাও নেই। এমন রোগীদের মুসকিল আসান করলেন বেঙ্গালুরুর এক ডাক্তারবাবু। তৈরি করলেন এমন ভয়েস বক্স যা মিলবে মাত্র পঞ্চাশ টাকায়।
ওয়েব ডেস্ক: গলার ক্যানসার কেড়ে নিয়েছে কথা বলার ক্ষমতা। দামী বিদেশি কৃত্রিম ভয়েসবক্স কেনারও ক্ষমতাও নেই। এমন রোগীদের মুসকিল আসান করলেন বেঙ্গালুরুর এক ডাক্তারবাবু। তৈরি করলেন এমন ভয়েস বক্স যা মিলবে মাত্র পঞ্চাশ টাকায়।
এ এক এমন রোগ যা কেড়ে নেয় কথা বলার অধিকার। গলার ক্যানসারের রোগীকে বাঁচাতে অনেক সময়ই তাঁর বাকযন্ত্রটি বাদ দিতে হয় ডাক্তারদের। ক্যানসারের শারীরিক যন্ত্রণার সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায় চূড়ান্ত মানসিক অবসাদ। বাক শক্তি হারিয়ে আরও ভয়াবহ ট্রমার মধ্যে পড়ে যান রোগীরা। এই সমস্যার সুরাহা করতে তৈরি হয়েছিল কৃত্রিম ভয়েস বক্স। যা ফিরিয়ে দেয় কথা বলার ক্ষমতা।
কী ভাবে তৈরি হল কৃত্রিম ভয়েস?
১৯৩৫ -এ আমেরিকান জার্নালে আশ্চর্য একটি ঘটনা সামনে আসে। দেখা যায় জিভ কেটে ফেলার পরেও কথা বলতে পারছেন এক রোগী।
কিন্তু কী ভাবে?
গবেষকরা দেখেন, খাদ্যানালী ও স্বরনালীর মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করা গেলেই মানুষ কথা বলতে পারবে। খাদ্য নালীতেও যদি স্বরনালীর মতো কম্পন হয়, তাহলেই মুখে কথা ফোটে।
আর এই মেকানিজমের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় কৃত্রিম ভয়েসবক্স। এতদিন বাজারে বিদেশে তৈরি যে সব ভয়েস বক্স মিলত তাঁর দাম কুড়ি হাজার টাকার কম নয়। আর সেই যন্ত্রেরও আয়ু মাত্র ছ মাস! অধিকাংশ ভারতীয়র পক্ষেই এত টাক খরচ করা সম্ভব নয়।
আর এই অসুবিধাটাই ভাবিয়েছিল বেঙ্গালুরুর অঙ্কোলজিস্ট বিশাল রাওকে। তিনি তৈরি করেছেন এমন এক ভয়েসবক্স যা মিলবে মাত্র ৫০টাকায়। বিশাল তাঁর এই নতুন এই যন্ত্রের নাম দিয়েছেন ওম। পাশে পেয়েছেন ব্যবসায়ী বন্ধু শশাঙ্ক মহেশকে। জার্মানী থেকে উপকরণ এনে এই ভয়েসবক্স তৈরি করছেন তাঁরা। বেঙ্গালুরুর HCG ক্যানসার কেয়ার হাসপাতালের তিন রোগী ইতিমধ্যে এই যন্ত্রের সুফল পেয়েছেন। চিকিত্সক বিশাল রাওয়ের আশা তার এই যন্ত্র কথা ফোটাবে আরও হাজার হাজর মুখে।