'সানডে হো ইয়া মনডে, রোজ খায়ে আন্ডে'
সারা পৃথিবী জুড়েই ব্রেকফাস্টের টেবিলে সবথেকে সমাদৃত খাবার ডিম। যদিও নিরামিষাশীরা কোনও দিনও এ খাদ্যের স্বাদ ও গুণ জানলেন না।
তবে ডিমকে নিজেদের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিরামিষাশীরা সম্ভবত পৃথিবীর অন্যতম সেরা স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে নিজেদের বঞ্চিতই রাখছেন।
পোচ, ওমলেট, সিদ্ধ বা স্ক্রামব্লেড, যেকোন অবস্থাতেই ডিম একজন মানুষের স্বাস্থ্যের অন্যতম সেরা প্রাত্যহিক ডোজ। এই প্রোটিন পাওয়ার হাউস কতশত ভাবে যে আমাদের উপকার করে যাচ্ছে আমরা বোধহয় এখনও তার সবটুকু জেনে উঠতে পারিনি।
১) ডিমের সাইজ- ছোট, মেজ থেকে বেশ বড়। বিভিন্ন সাইজের ডিম আমাদের চোখে পড়ে। আয়তন নয়, এর জন্য দায়ি ডিমের ওজন।
২) সুস্থ ডোজ- অনেকেই দাবি করেন ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকা কোলেস্টরল হার্টের পক্ষে ক্ষতিকর। যদিও, বহু গবেষকরা দাবি করেছেন এই ধারণা মিথের মত। তাঁদের দাবি হেলথি ডায়েটের অবিচ্ছেদ্য অংশ ডিম।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণ- যদি আপনি নির্দিষ্ট একটি ওজনে পৌঁছতে চান, তাহলে আপনার দৈনিক ডায়েট থেকেও ভুলেও ডিমকে বাদ দেবেন না। এই প্রোটিন পাওয়ার হাউস আপনার পেট ভরিয়ে দেবে সহজেই, অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার হাত থেকে রক্ষা করবে।
৪) ফিট ইজ গুড- পর্যাপ্ত প্রোটিন শরীরের পক্ষে অত্যাবশ্যক। মাসল গঠনে যা একান্ত প্রয়োজনীয়। যারা নিয়মিত ওয়ার্কআউট করেন, তাদের জন্য ডিম অপরিহার্য। পেশী গঠনের প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টগুলি শরীরের পৌঁছে দেওয়ার সহজতম উপায় ডিম।
৫) ভিটামিন ডি-এর সোর্স- প্রোটিন ছাড়াও ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। হাড়ের গঠনে যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ডিম অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক উপাদান যা শরীরে ভিটামিন ডি-এর প্রয়োজনীয়তা মেটায়।
৬) ফ্যাট কনটেন্ট- একটি বড় ডিমে প্রায় ১.৫ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, থাকে ১.৮ গ্রাম মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। সঙ্গে থাকে ১ গ্রাম পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ১৮৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল।