রোল, চাউমিনের পোড়া মাংস ডেকে আনছে ক্যানসার
নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই? চটজলদি খাবারেই অভ্যেস? ভাজা, পোড়া মাংস থেকে রোল, চাউমিন? সাবধান। দফারফা হচ্ছে পেটের। সম্ভাবনা বাড়ছে কোলন ক্যানসারের।
ওয়েব ডেস্ক : নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই? চটজলদি খাবারেই অভ্যেস? ভাজা, পোড়া মাংস থেকে রোল, চাউমিন? সাবধান। দফারফা হচ্ছে পেটের। সম্ভাবনা বাড়ছে কোলন ক্যানসারের।
প্যাকেটের মাংস বিপদ ডেকে আনছে। সসেজ, বেকন, হ্যাম, সালামির প্রতি ভালবাসা হার্টের বারোটা বাজাচ্ছে। এমনকী ক্যানসারে মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনছে। চিকেন বা মাটন দেওয়া সস্তার স্ট্রিট ফুডেও মারাত্মক বিপদ। চিকেন রোল, মাটন রোল, পর্ক রোল, চিকেন চাউমিন, মাটন চাউমিন, পর্ক চাউমিন বা মিক্সড ফ্রায়েড রাইস। অল্প পয়সায় ভরছে মন, জিভের আরাম। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবেছেন কি?
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসারের সমীক্ষা বলছে, বিফ, পর্ক, ভেড়া এবং পাঁঠার ভাজা বা পোড়া মাংস বেশি খেলে ঘোর বিপদ। বেকন, সসেজ, হ্যামবার্গারের মতোই আমিষ রোল বা চাউমিন বা ফ্রায়েড রাইসের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। এই সব খাবার বেশি খেলে প্রস্টেট ও কোলন ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়বে। বিশ্বব্যাপী সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পঞ্চাশোর্ধ্ব পুরুষদের মধ্যে যাঁদের অন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়েছে, সেই সংখ্যাটা ৯৫ শতাংশ।
অন্ত্র বা কোলন ক্যানসারের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। অন্ত্রে জন্মানো ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই হল অন্ত্রের ক্যানসার। ৪০ থেকে ৫০ বয়সী পুরুষদের মধ্যেই এটা বেশি দেখা যায়। কোলন বা পায়ুপথের পলিপস কিংবা টিস্যুর অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে এ ক্যানসার হয়। হজমতন্ত্রে যেসব ক্যানসার হয়, তার মধ্যে অন্ত্রের ক্যানসার দ্বিতীয় অবস্থানে। পাকস্থলীর ক্যানসারের পরেই এর অবস্থান। এই ক্যানসারে রক্তশূন্যতা, ওজন হ্রাস, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি হয়ে থাকে। পিত্তথলি, প্রস্টেটেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। অনেক সময় লিভারেও তা ছড়িয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের বেশি ভাজা বা পোড়া মাংস খাওয়া চলবে না। চিকিত্সকদের পরামর্শ, টাটকা এবং প্রক্রিয়াজাত নয়, এমন মাংস খাওয়া যেতে পারে। তাই, রোল, চাউমিনের মতো স্ট্রিট ফুডের প্রতি ভালবাসা না ছাড়লে পেটের দফারফা তো হবেই, ডেকে আনতে পারে মৃত্যুও।
আরও পড়ুন, শীতে এই 'হট ড্রিঙ্কস'গুলিই ভালো রাখবে আপনার হার্ট!