Kolkata: রেফার রোগে চূড়ান্ত হয়রানি! বর্ধমান থেকে টোটোয় কলকাতা, তাতেও স্ত্রী বাঁচবে কি না জানেন না স্বামী...
Kolkata: গতকাল রাত ১০টা নাগাদ উপেনবাবু ও তাঁর স্ত্রী এসে পৌঁছন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শিবানীদেবীর হাত পা ফুলে গিয়ে, হার্ট ও কিডনির অসুখে ভুগছেন। বমি হচ্ছে বারবার। কলকাতা মেডিক্যাল থেকে বলা হয় ওই বিভাগের ডাক্তার নেই
অয়ন ঘোষাল ও বিধান সরকার: ডাক্তার দেখাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে টোটো চেপে কলকাতায় এসেও হয়রানির শেষ নেই। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসএসকেএম, সেখান থেকে এখন তাঁকে কোথায় পাঠানো হবে জানেন না উপেন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বর্ধমান থেকে টোটোয় চাপিয়ে তিনি তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। কিন্তু প্রায় বারো ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর ডানকুনিতে এসে সেই টোটোর ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়। স্ত্রী শিবানীকে(৬৫) নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন উপেনবাবু। শেষপর্যন্ত ডানকুনি পুরসভার চেয়ারপার্সন হাসিনা শবনম তাঁদের একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেন।
আরও পড়ুন-'রাশিয়া থেকে কেমিক্যাল আনা হয়েছে আমাকে খুনের জন্য, স্প্রে করে দিলেই মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর'
মুর্শিদাবাদের সালারের বাসিন্দা উপেন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অসুস্থ স্ত্রী শিবানীদেবীকে ভর্তি করান কেতুগ্রাম হাসপাতালে। সেখান থেকে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যালে। কলকাতা রাজারহাটে থাকেন উপেনবাবুর মেয়ে। তাই নিজের টোটোয় স্ত্রীকে চাপিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন। কিন্তু ডানকুনির কাছে এসে টোটোর ব্যাটারি ফুরিয়ে যায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্স কলকাতা।
গতকাল রাত ১০টা নাগাদ উপেনবাবু ও তাঁর স্ত্রী এসে পৌঁছন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শিবানীদেবীর হাত পা ফুলে গিয়ে, হার্ট ও কিডনির অসুখে ভুগছেন। বমি হচ্ছে বারবার। কলকাতা মেডিক্যাল থেকে বলা হয় ওই বিভাগের ডাক্তার নেই। তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা এসে পৌঁছন এসএসকেএম-এর ইমার্জেন্সিতে। সেখানে শিবানীকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এরকম এক পরিস্থিতিতে তাদের চলে যেতে বলা হয়। বলা হয় বৃহস্পতিবহার অর্থাত্ আজ সকালে কাডিওলজি বিভাগে আসতে। প্রশ্ন উঠছে কোথায় সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম?
হাসপাতালেই রাত কাটান শিবানী ও উপেনবাবু। আজ সকালে কার্ডিওলজি বিভাগের ওপিডিতে দেখানোর পর ইসিজি করা হয় শিবানীদেবীর। তারপর বলা হয় মেডিসিনের ওপিডিতে দেখাতে। সকালে তাঁরা চলে যান মেডিসিন বিভাগের সাত তলায়। এরপর তাঁদে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে।
সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম রাজ্যে চালু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু রেফারেল রেফারেলের উপরে ভরসা করে কলকাতায় এলে রোগীর বেড পাওয়ার কথা। প্রশ্ন উঠছে বর্ধমান মেডিক্যাল থেকে রেফার করা হওয়ার পর শিবানীকে কেন কলকাতা মেডিক্যাল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হল? এসএসকেএমও সিট মিলল না। শুধু তাই নয় তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হল ওপিডিতে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)