করোনার চিকিৎসায় ইনহেলার হিসাবে সরাসরি রেমডিসিভির প্রয়োগের ভাবনা গিলেড সায়েন্সের!
এ বার ইনহেলার ও অন্যান্য সহজ উপায়ে বা রূপে এই ওষুধকে প্রয়োগের বিষয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন সংস্থার বিজ্ঞানীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার চিকিৎসায় গোটা বিশ্বে আশা জাগিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়েন্ট ‘গিলেড সায়েন্স’ (Gilead Sciences)-এর তৈরি রেমডিসিভির (Remdesivir)। ভারতের তিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা-সহ বিশ্বের মোট পাঁচ সংস্থাকে এই ওষুধ তৈরির অনুমতি দিয়েছে ‘গিলেড সায়েন্স’। সেই মতো রেমডিসিভির তৈরির তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে শুধু করোনার ওষুধ তৈরির স্বত্ব বেচেই থেমে থাকছে না গিলেড সায়েন্স। এ বার ইনহেলার ও অন্যান্য সহজ উপায়ে বা রূপে এই ওষুধকে প্রয়োগের বিষয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন সংস্থার বিজ্ঞানীরা।
সোমবারই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু ইনজেকশন নয়, অন্যান্য বিকল্প উপায় বা রূপে এই ওষুধের প্রয়োগ আরও সহজ করার কথা ভাবছেন তাঁরা। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগেই যাতে শরীরে সংক্রমণরোধী ব্যবস্থা বা প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়, সে নিয়েই গবেষণা শুরু করেছেন সংস্থার বিজ্ঞানীরা। প্রাথমিক ভাবে ইনহেলারের সাহায্যে করোনা আক্রান্তের ভাইরাস সংক্রমিত ফুসফুস সারানোর কথাই ভাবছেন তাঁরা। অর্থাৎ, ইনহেলারের ওষুধের রূপেই রেমডিসিভির (Remdesivir) তৈরির পথে এগোচ্ছেন গিলেড সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা।
ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক করোনভাইরাসের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ ধরনের ইনহেলার তৈরি করেছেন। ওই ব্রিটিশ গবেষকদের দাবি, এই ইনহেলার ব্যবহারে করোনা আক্রান্তের ভাইরাস সংক্রমিত ফুসফুস দ্রুত সেরে উঠবে। তাঁদের দাবি, এই ইনহেলার ফুসফুসের ভাইরাস সংক্রমণ নিরাময়ের পাসাপাশি ভাইরাল লোড কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। তাঁদের তৈরি এই বিশেষ ওষুধটির নাম SNG 1001।
আরও পড়ুন: 'আবিষ্কার' হয়ে গেল করোনার ওষুধ! ১১ জুন থেকেই প্রয়োগ শুরু চিকিৎসায়
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানান, তাঁদের তৈরি এই SNG 1001 ওষুধে রয়েছে ইন্টারফেরন বিটা নামের এক বিশেষ ধরনের প্রটিন। এই প্রোটিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগীর শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। বিজ্ঞানীরা জানান, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের টিকিৎসায় এই ধরনের প্রোটিনের প্রয়োগ করা হয়। করোনার প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর প্রমানিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, গিলেড সায়েন্সের বিজ্ঞানীরাও হয়তো এই পদ্ধতিতেই করোনার চিকিৎসায় সরাসরি রেমডিসিভির (Remdesivir) প্রয়োগের কথা ভাবছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে কিছুই জানাতে নারাজ মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়েন্ট ‘গিলেড সায়েন্স’।