Ginger Benefits: ব্লাডসুগার ও ইনসুলিন সহজেই উড়িয়ে দেবে এই মশলা, কমাবে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও...
Ginger Benefits: রান্নাঘর আদা ছাড়া একদমই অসম্পূর্ণ৷ তবে শুধু রান্না নয়, আয়ুর্বেদ মতে অনেক ছোটো-বড় রোগের হাত থেকে মুক্তি দিতে পাডরে রোজকার রান্নার একটি সাধারন উপকরনটি। এমনকী ব্লাডসুগারের মতো জটিল সমস্যায় যাঁরা জর্জরিত তাঁদের জন্য আদা হয়ে উঠতে পারে- ব্রহ্মাস্ত্র। জেনে নিন কীভাবে সুগার লেবেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে আদা...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমাদের রান্নাঘরের খুবই প্রয়োজনীয় এবং ব্যবহৃত মশলা হল আদা। রোজকার রান্নার একটি সাধারন উপকরন আদা। তবে শুধু রান্না নয় এই সবজিটির আরও অন্য গুণাগুণ রয়েছে। বৈদিক যুগ থেকেই আদা ঔষধির গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অনেক পরিস্থিতিতে আদা বহু মানষদের বহু রোগ যেমন সর্দিকাশির হাত থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন, কবে পাকাপাকি ভাবে বিদায় নিচ্ছে করোনা অতিমারি? অবেশেষ পরিষ্কার করে জানিয়েই দিল WHO...
গবেষণা থেকে জানা গেছে, যে আদাতে অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট আছে। ফলে, এটি ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে তুলতে সাহায্য করে। পাশাপাশি সবজিটিকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার কাজেও ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় আদাকে ডায়াবেটিস রোধের জন্যেও ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে বেশ কিছু ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীরা শুকনো আদার গুঁড়ো ব্যবহার করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দেখে নিন আদার অন্যতম উপকারিতা:
১. কার্ডিওভাসকুলার হেল্থ:
দীর্ঘস্থায়ী ইনফ্লেমেশনের কারণে হার্টে অত্যন্ত চাপ পড়ায় অনেক রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য সেই ইনফ্লেমেশন কমিয়ে দিতে পারে। তার সঙ্গে শরীরের রক্ত চলাচল উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে। তাতে রক্তনালী প্রশস্ত করে তোলে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমায়।
২. ডায়াবেটিস এবং কিডনি হেল্থ:
আদার অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণগুলি ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগ উভয়ের বিকাশকে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়াও আদা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ইনফ্লেমেশনের উন্নতির জন্যেও ব্যবহার করা যেতে পারে। সুতরাং এটি কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং ডায়াবেটিসের জটিলতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বমি বমি ভাব, এবং ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন হজমের লক্ষণগুলি সমাধানেও ব্যবহার করা হয়। এই মশলাটি এনজাইমগুলির উত্পাদনও বাড়াতে পারে, যা ভাল হজমে সহায়তা করে।
কিন্তু, কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। যদিও আদার কোনও সাইড এফেক্ট নেই তবুও প্রচুর পরিমাণে এটি খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেমন- অম্বল, ডায়রিয়া এবং গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এটাও মনে রাখতে হবে যে আদা বেশ কিছু ওষুধের সঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া করে। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এটি না খাওয়াই ভালো। অতএব আদার উপকারিতা উপভোগ করার জন্য সকালে বা ঘুমোনোর সময় আদার রস বা চা, খাওয়া যেতে পারে।