গ্রীষ্মের লম্বা ইনিংস সামাল দিতে আপনার রোজনামচা ছকে দিলেন বিশেষজ্ঞরা
গরমের সময়টা একটু বেশিই সাবধানী হওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা! জেনে নিন গরমের দিনগুলোতে নিজেকে সুস্থ রাখতে কোন দিকটা মাথায় রাখবেন অবশ্যই, কোন বদ অভ্যাসটাই বা বাদ দেবেন রোচনামচার থেকে। চড়া গরমে স্বস্থি পেতে জীবনযাপন খানিকটা ছকে দিলেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ কৌশিক লাহিড়ী এবং ডাঃ রাজা ভট্টাচার্য।
![গ্রীষ্মের লম্বা ইনিংস সামাল দিতে আপনার রোজনামচা ছকে দিলেন বিশেষজ্ঞরা গ্রীষ্মের লম্বা ইনিংস সামাল দিতে আপনার রোজনামচা ছকে দিলেন বিশেষজ্ঞরা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/04/23/188524-hot.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: কখনও কালবৈশাখীর তান্ডব আবার কখনও চাঁদিফাটা রোদের রক্ত চক্ষু। তাপমাত্রার এই ওঠানামায় নজর রাখতে হবে শরীরের দিকে। গরমের সময়টা একটু বেশিই সাবধানী হওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা! জেনে নিন গরমের দিনগুলোতে নিজেকে সুস্থ রাখতে কোন দিকটা মাথায় রাখবেন অবশ্যই, কোন বদ অভ্যাসটাই বা বাদ দেবেন রোচনামচার থেকে। চড়া গডরমে স্বস্থি পেতে জীবনযাপন খানিকটা ছকে দিলেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের চিকিৎসক ডাঃ রাজা ভট্টাচার্য বলছেন, "যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চুলন। ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত সূর্যের তাপ সব চেয়ে বেশি থাকে। দুপুরের এই সময়টা রোদের মধ্যে খুব বেশি ঘোরাঘুরি না করাই ভাল।" পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। ঘামের সঙ্গে যেহেতু শরীর থেকে জল এবং নুন দুই বেরিয়ে যায় সেক্ষেত্রে নুন আর জলের সমতা বজায় রাখতে খাদ্যতালিকায় জল এবং নুন দু-ই রাখুন পর্যাপ্ত মাত্রায়। চিকিৎসকদের কথায় "ডাবের জল, ওআরএস খান, রাস্তার সরবত খাবেন না, এতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা থাকে।"
আরও পড়ুন: অ্যাডিনোভাইরাসে থরহরিকম্প রাজ্য, আগাম জেনে নিন শহরের কোন হাসপাতালে মিলছে চিকিৎসা
এই সময় রোজের খাদ্য তালিকাতেও পরিবর্তন দরকার বলেই জানাচ্ছেন ডাঃ ভট্টাচার্য। তেল-মশলা কম এমন হালকা খাবার খান, জাঙ্ক ফুট, ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন। চিঁড়ে-দই এই সময়ের জন্য খুবই উপকারি, প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ফল রাখুন অবশ্যই। তবে রাস্তার কাটা ফল নৈব নৈব চ। অন্যদিকে 'ব়্যাপিড চেঞ্জ অফ টেম্পারেচার'-এর দিকটাও মনে করাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন রোদ থেকে সরাসরি এসি বা এসি থেকে সরাসরি রোদে কখনই নয়। মাথায় রাখতে হবে খুব কম ডিগ্রিতে এসি চালাবেন না। এসি অন্তত ২৪ ডিগ্রির উপরে থাকা উচিত।
ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাঃ কৌশিক লাহিড়ীর কথায় এই সময় তিনটে দিক মাথায় রাখতে হবে, এক অতিরিক্ত উষ্ণতা, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি এবং আর্দ্রতা। যেহেতু আমাদের চামড়ার ধরনের কারণে ট্য়ানিং বেশি হয় তাই প্রখর রোদে ছাতা এবং সানস্ক্রিনের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। সাদা, সুতির জামা-কাপড় পরার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। এই সময় আঁটোসাঁটো জামাকাপড় এড়িয়ে চলাই ভাল।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধদের জন্য বিশেষ বিভাগ, আরও একাধিক পরিষেবা যোগ হল কলকাতা মেডিক্যালে
অন্যদিকে এই সময় ঘামাচি এবং অন্যান্য ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সমস্যা বাড়ে সে ক্ষেত্রে ঘাম যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখুন। পাউডারকে একেবারেই বর্জন করতে বলছেন ডাঃ কৌশিক লাহিড়ী। চুলে তেল নয় বরং সপ্তাহে তিন চারদিন শ্যাম্পু করুন। নিয়মিত স্নান করুন। যাঁরা অনেকক্ষণ এসিতে থাকছেন তাঁরা ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করতে পারেন। উল্লেখ্য, এখন সানস্ক্রিনেই ময়েশ্চরাইজার থাকে। গরমের দিনগুলোয় নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখলেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলেই জানালেন ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাঃ কৌশিক লাহিড়ী।