জাপানিজ এনসেফালাইটিস রোধে বাজারে চলে এল ভারতীয় ভ্যাকসিন
জাপানিজ এনসেফালাইটিস রোধ করার জন্য গত ৪ অক্টোবর ভারত থেকে একটি দেশীয় ভ্যাকসিন বার করা হল। এই জাতীয় এনসেফালাইটিসের ভাইরাস নির্মুলকরণের জন্য এই ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হল জাতীয় পরিকল্পনার অংশ হিসাবে। ভারতের ১৯টি রাজ্যে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ বিশেষত শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত বিহার ও উত্তরপ্রদেশে অপুষ্টিতেভোগা শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ সাংঘাতিক। মশা বাহিত এই রোগের ভাইরাস শুকর থেকে মানুষের দেহে সংক্রামিত হয়।
জাপানিজ এনসেফালাইটিস রোধ করার জন্য গত ৪ অক্টোবর ভারত থেকে একটি দেশীয় ভ্যাকসিন বার করা হল। এই জাতীয় এনসেফালাইটিসের ভাইরাস নির্মুলকরণের জন্য এই ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হল জাতীয় পরিকল্পনার অংশ হিসাবে। ভারতের ১৯টি রাজ্যে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ বিশেষত শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত বিহার ও উত্তরপ্রদেশে অপুষ্টিতেভোগা শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ সাংঘাতিক।
মশা বাহিত এই রোগের ভাইরাস শুকর থেকে মানুষের দেহে সংক্রামিত হয়।
১৯৫৫ সালে তামিলনাড়ুতে এই রোগের প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটে। তারপর থেকে ২০১৩ অবধি ১৯টি রাজ্যে ১৭১টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। জেনভ্যাক নামক এই ভ্যাকসিনের আত্মপ্রকাশে সময় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ এই কথা জানান।
জাপানিজ এনসেফালাইটিস রোধে ভারত সরকার একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দু`দফার এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ২০০৮-এ এই ভ্যাকসিন তৈরির প্রারম্ভিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই ভ্যাকসিন তিন বছরের জন্য জাপানিজ এনসেফালাইটিসের বিরুদ্ধে দেহে ইমুউনিটি তৈরি করে।
প্রধানত ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই রোগ হলেও চলতি বছরে উত্তরপূর্বের কয়েকটি রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্করাও এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে জাপানিজ এনসেফালাইটিসের ভ্যাকসিনের জন্য চিনের উপর নির্ভরশীল ছিল ভারত। জেনভ্যাক বাজারে চলে আসার ফলে সেই নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে এল ভারত।