Coronavirus: চাইনিজ ফুড করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে না তো?
বিরাট সংখ্যক মানুষের ধারণা, চাইনিজ ফুডের বিভিন্ন ধরনের সস, চাউমিন থেকেই ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। তাই অনেকেই ছাড়তে বসেছেন চাইনিজ ফুড।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অনেকেই এখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছেন। এরই মধ্যে সেই আতঙ্ক আরও উস্কে দিল চাইনিজ খাবার! নিয়মিত ফাস্ট ফুড ও চাইনিজ ফুড খাওয়া লোকজনও কিন্তু ছাড়তে বসেছে চাইনিজ ফুড ও চিকেন খাওয়া। হ্যাঁ, এমনটাই মত অনেকের। বিরাট সংখ্যক মানুষের ধারণা, চাইনিজ ফুডের বিভিন্ন ধরনের সস, চাউমিন থেকেই ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। তাই অনেকেই ছাড়তে বসেছেন চাইনিজ ফুড। আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াও বলছে একই কথা। এর আগেও অনেক ভাইরাস ছড়িয়েছিল ফাস্ট ফুড ও মাংস থেকেই। তাই এবারও এমন হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এর জন্য চাইনিজ ফুডের কদরও কমেছে চিনের বাজারে। এদিকে আমাদের দেশের রেস্তরাঁয় যে সব চাইনিজ ডিশ বিক্রি হয়, সেগুলির প্রায় সবগুলিতেই চিকেন থাকে! এই কারণেই সস, চাউমিনের পাশাপাশি চিকেনের প্রতিও ভীতি তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। তবে ‘ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গ্যানাইজেশন’ (WHO) এবং ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন প্রোগ্রাম’-এর ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণগুলির ঝুঁকির তালিকায় চাইনিজ খাবার খাওয়া পড়ে না।
আরও পড়ুন: দৈনন্দিন ব্যবহারের রুমাল থেকেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস! মত বিশেষজ্ঞদের
আমাদের দেশে অবশ্য ভয়টা অন্য জায়গায়। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই প্রায় প্রতিদিনই রেস্তরাঁর খাবার খাওয়ার রেওয়াজ করে ফেলেছেন। এদিকে রোজ রোজ রেস্তোরাঁর খাবার খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করতে পারে শরীরের নানারকম সমস্যা। কারণ, রেস্তরাঁর খাবারে ব্যবহার করা হয় ‘মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট’ যাকে আমরা আজিনামোটো নামে চিনি। ‘আজিনামোটো’ আসলে প্যাকেটজাত ‘মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট’ বিক্রয়কারী সংস্থার নাম। মাত্রাতিরিক্ত ‘মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট’ ডেকে আনতে পারে বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুর সমস্যা এবং বৃহদন্ত্র, ক্ষুদ্রান্ত্রের ক্যান্সার! তাই করোনায় আক্রান্ত না হলেও অনান্য নানারকম সমস্যা থেকে দূরে থাকতে এড়িয়ে চলুন চাইনিজ খাবার।