করোনার মধ্যেই বাড়ছে Zika Virus হানা, গর্ভবর্তী মহিলাদের প্রাণসংশয়ের ঝুঁকি
আক্রান্তদের শরীরে জিকার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একা করোনায় রক্ষে নেই, জিকা ভাইরাস (Zika Virus) দোসর! যেভাবে এই ভাইরাস আক্রমণ বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দেশে৷ কেরলে মোট ১৪ জনের শরীরে পাওয়া গেল জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি। আক্রান্তদের শরীরে জিকার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি।
২৪ বছরের এক তরুণীর দেহে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলে আক্রান্তদের মধ্যে ১৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। সেখানে ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই তরুণীর গর্ভাবস্থায় এই ভাইরাস হানা হয়৷ সতর্কতার সঙ্গে চিকিৎসা জারি রয়েছে।
এই জিকা ভাইরাস একটি মশাবাহিত রোগ। এর বাহক হল এডিস মশা৷ চিকেনগুনিয়া, ডেঙ্গির মতোই উপসর্গ দেখা যায়। প্রবল জ্বর, গাঁটে ব্যাথা ছাড়াও, শরীরে র্যাশ বের হতে দেখা যায়। এমনকি শরীরের জটিলতা বাড়িয়ে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে জিকা। খুব দ্রুত এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন, 'এক দেশ এক আইনে' সায় দিল্লি হাইকোর্টের, কেন্দ্রকে উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশ
এই জিকা ভাইরাস মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে গর্ভস্থ সন্তান ও ভ্রুণের। গর্ভবতী মহিলারা যদি Zika Virus-এ আক্রান্ত হন, তাহলে শিশু বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিশুর মস্তিষ্ক স্বাভাবিকের থেকে ছোট আকারের হতে পারে। মস্তিষ্ক বিকাশও থমকে যায়। কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে গর্ভস্থ সন্তান ও মায়ের।
বাড়ির চারপাশ পরিস্কার রাখা, জল জমতে না দেওয়া, মশার হাত থেকে বাঁচতে মশা প্রতিরোধী ওষুধ ব্যবহার করা যায়৷ এদিকে জিকা ভাইরাস নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে রাজ্য। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। জিকা প্রতিরোধে তৈরি হচ্ছে বিশেষজ্ঞ কমিটিও।